বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০২:৪০ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের তোফায়েল নগর বাজারের ” খাজা হোমিও হলের ” স্বত্ত্বাধিকারী মরহুম ডাক্তার ইউনূস মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে, উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের তোফায়েল নগর বাজারে” ” খাজা হোমিও হল ” এর স্বত্ত্বাধিকারী ডাক্তার ইউনুস মিয়া সুদীর্ঘ প্রয় ৩০ বছর যাবৎ সুনামের সহিত ব্যবসা করে আসিতেছিলেন। জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে সে গত ১ বছর পূর্বে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে সে দুই ছেলে এবং দুই মেয়ে দুই বউ রেখে যান।
মৃত্যুর চার বৎসর পূর্বে, ডাক্তার ইউনুছ মিয়া পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের নাজমা আক্তার ( নিঃসন্তানকে) বিয়ে করেন এবং পরক্ষণে, মূল পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা আক্তারের সাহিত বসবাস শুরু করেন এবং সেখানেই সে ইন্তেকাল করেন।
ডাক্তারের মৃত্যুর পর “খাজা হোমিও হলে ” রোগী দেখা ও চিকিৎসার দায়িত্ব নেন নাজমা আক্তার কিন্তু তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট নেই, ডাক্তারি করার কোনো অভিজ্ঞতা নেই, এমনকি ড্রাগ লাইসেন্স ও নেই, কোন কিছু না থাকা সত্ত্বেও সে ভুয়া ডাক্তার সেজে রোগী দেখেন, এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। জনমনে প্রশ্ন সে কি ডাক্তার? যদি কোনো রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে ক্ষেত্রে এর দায়ভার কে নেবে!
এ বিষয়ে নাজমা আক্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করেন যে, ফার্মেসী চালানো এবং ডাক্তারী করার, কোন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা তাহার নেই।
এ বিষয়ে সরেজমিনে স্থানীয় তুফায়েল নগর বাজার ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম ( অনিক), নুর মিয়া,তাজন মিয়া সহ আরো অনেকে জানান যে ডাক্তারের ২য় স্ত্রী নাজমা আক্তার পূর্বে কোনদিন ডাক্তারি করতে দেখি নি, উনি ( ডাক্তার) মারা যাওয়ার পর নাজমা,- ভুয়া ডাক্তার সেজে ফার্মেসিতে রোগী দেখেন এবং চিকিৎসা করেন এবং মানুষকে ঔষধ দিতে দেখা যায়, তার প্রতিষ্ঠানিক কোন সার্টিফিকেট আছে কিনা আমাদের জানা নেই, পূর্ব কোন অভিজ্ঞতা নেই, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এর দায়ভার কে নেবে?
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম ইয়াসির আরাফাত এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ভূয়া ডাক্তার সেজে কেউ যেন প্রতারনার মাধ্যমে সমাজের ক্ষতি করতে না পারে এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সর্বদা তৎপর রয়েছে।