রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়ন এর জামালপুর গ্রামের মৃত তোতামিয়া আর মেয়ে সাফিয়া বেগম এর বসত ঘর ভেঙে রাতের আধারে ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া যায়,
মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সাফিয়া বেগম বিজয় নগর থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে দেখা যায় মৃত তোতা মিয়ার ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে সাফিয়া সবার বড় এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কালা মিয়ার সাথে তার বিয়ে হয়,
অভাব-অনটন ও বসতভিটার জায়গার অভাবে এবং বাবার সম্পত্তিতে মেয়ের অধিকার সে সূত্রে সাফিয়া বয়োবৃদ্ধ স্বামী মুক্তিযুদ্ধা কালা মিয়াকে নিয়ে শেষ সম্বল সঞ্চিত অর্থে একটি টিনের ঘর তুলে বসবাস করতে শুরু করেন।
নিরীহ সম্পত্তিতে ক্ষমতাবানদের কুদৃষ্টি পরে এ নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ সম্পত্তির ঝামেলা চলতেছে,৷
সাফিয়া জানান তার বাবা জীবিত থাকাকালীন কোন সম্পত্তি বিক্রি করে নাই এখন তারা জাল দলিল সৃষ্টির মাধ্যমে জায়গা দখলের পাঁয়তারা করছে,
অভিযুক্তদের দাবি সাফিয়ার বাবা জীবিত থাকাকালীন এই জায়গা তাদের কাছে বিক্রি করে যায়. অনেকবার গ্রাম্য সালিশ হয় এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ ও শালিস বৈঠক হয় কিন্তু কোনো সুরাহা হয় নি।
অর্থ ও পেশিশক্তির বলিয়ান একই গ্রামের প্রতিপক্ষ নুর মিয়া, ইকবাল মিয়া, রাসেল মিয়া এবং তার সহযোগীরা ১৫/২০ জনের একটি দল গত ১৬ ই আগস্ট ২০২০ ইং তারিখে রাতের আধারে তান্ডব চালিয়ছে বসতভিটের উপ।
বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা ভিটা মাটি ছাড়া করতে বসত ঘর ভেঙে পুকুরে নিক্ষেপ করেন ও ঘরে রক্ষিত মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়, ঘরের আসবাবপত্র লেপ-তোষক এমনকি ঘুমানোর খাট ভেঙে অন্যত্র ফেলে দেন।
শুধু এতেই ক্ষান্ত হননি গায়ে হাত তুলেন লজ্জায় মুখ খোলেন না , এমন কি ভিটের মাটি পর্যন্ত কেটে নিয়ে যায়।
উপায়ান্তর না দেখে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সাফিয়া বেগম ১৩ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
বয়োবৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা অশ্রুসিক্ত অবস্থায় আক্ষেপ করে বলেন এজন্যই কি দেশ স্বাধীন করেছিলাম!
এ বিষয়ে স্থানীয় জনতা আল মামুন, জিলু মিয়া আক্ষেপ করে বলেন গরিব বলে বিচার নেই।
সরদার আবুল ফয়েজ বলেন, ওখানে দু চালা টিনের ঘর ছিল কে ভেঙেছে তা জানিনা,সাফিয়া যে জায়গা দাবি করছেন তা এখানে নয় অন্য জায়গায়।
এ বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান হামদু বলেন এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার আমার উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি, ঘর ভেঙে উচ্ছেদের বিষয়ে আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান জানান, আমার কাছে একটি অভিযোগপত্র এসেছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।