বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০২:৫৭ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের পত্তন ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামে চা দোকান ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সরেজমিনে এসে, এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় যে, আজ ২৬ শে আগস্ট বুধবার গভীর রাতে ২/ ৩ টায় মদন মিয়ার চা দোকান দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে,
বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজির আহমদ, পত্তন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোশারফ সরকার, স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল আলিম, আফজাল মিয়া, সহ আরো অনেকে জানান যে, রাস্তার পাশে ‘ মদন মিয়ার “চা দোকান,’ বিভিন্ন সুবিধার কারণে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী নেতা কর্মীদের সুবিধার্থে মদন মিয়ার চা দোকান গৃহটি আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে ছিল , স্থানীয় সকল আওয়ামী নেতা কর্মীরা উক্ত দোকানে বসে দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা পর্যালোচনা করে থাকতো, সে সুবাদে উক্ত চা দোকান ঘরের উপরে নৌকার প্রতীক টানানো ছিল, দুর্বৃত্তদের আগুনের কারণে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তারা আরো জানান, মদন মিয়া ও মশু মিয়া উভয়ে একে অপরের চাচাতো ভাই, বাড়ি যাওয়ার রাস্তা নিয়ে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল -সালিশে মীমাংসা হয়েছে, কিন্তু চা দোকান ঘরে আগুন দেওয়ার মূল হোতাকে বের করে সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
বিজয়নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাজভী বলেন, মদন মিয়ার চা দোকানে যে আগুন দিয়েছে, সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে খুঁজে বের করে তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।
উক্ত আগুন সম্পর্কে মদন মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি জানান – অনুমান রাত ২/ ৩ টায় প্রথমে বিকট শব্দ হয় এ শব্দে আমি ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে দোকানের দিকে আসি এবং পাশের বাড়ির মশু মিয়া, উজ্জল মিয়া এবং শাহিন মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখি, এ সময় আমার দোকান ঘরটি আগুনে পুড়তে থাকে, আমার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
তিনি আরো বলেন পার্শ্ববর্তী মশু মিয়া সাথে বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছে, গত ২১ আগস্ট ২০২০৷ মশু মিয়ার স্ত্রী শাহানা বেগম বাদী হয়ে বিজয় নগর থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ৪০. উক্ত মামলায় মদন মিয়া জেল হাজতে.
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতন এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ আতিকুর রহমান জানান, লিখিত বা মৌখিক কোনভাবেই আমি অবগত নই, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।