বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপু উপজেলার জোড়া খুনের ঘটনার পর থেকে বাদল মামা নিখোঁজ, খুনের ঘটনার কূলকিনারা করতে বাদল মামাকে খুঁজিতে ছিল পুলিশ। অবশেষে পলাতক বাঁদল মামাকে খুঁজে পেয়েছে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ,
গত সোমবার (২৪ আগস্ট )২০২০ ইং বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের ব্রিজ সংলগ্ন সৌদি ফেরত প্রবাসী কামাল উদ্দিনের মেয়ে শিপা আক্তার (১৪) বাঞ্ছারামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী এবং ছেলে সলিমাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র কামরুল হাসান(১০)কে বিকেল থেকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ছেলেকে না পেয়ে মা হাসিনা আক্তার মেয়েকে ( শিপাকে ) বাড়িতে রেখে ছেলের সন্ধ্যানে বেড়িয়ে যান।, পরে ছেলের সন্ধ্যান না পেয়ে বাড়ীতে ফিরে এসে দেখেন মেয়ে নিখোঁজ। ওই দিন রাত ১০টায় বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ এসে বসত ঘরের খাটের নিচ থেকে ভাই, বোনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেন, এ ঘটনার পর থেকে শিফা ও কামরুলের আপন মামা, বাদল বোনজামাই কামাল উদ্দিনের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। রহস্যজনক এ পালানোর জন্য পুলিশ তাকে খুঁজতে থাকে।
বাদল কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার খুদাদাউদপুর গ্রামের মৃত আবদুর রবের ছেলে। হোমনায় থানায়, একটি মামলার আসামি হয়ে গত ১৫ দিন আগে বাঞ্ছারামপুরে বোনের বাড়িতে আসে।
নিহতদের মা হাসিনা আক্তার বলেন, বাদল বাহরাইন থাকাকালে দোকান করার জন্য আমার স্বামী (কামাল উদ্দিন) এর কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেয়। এর মধ্যে ৩ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে। বাকি ১০ লক্ষ টাকা চাওয়াতেই এ কাণ্ড করেছে সে। এমন খুনি ভাইয়ের ফাঁসি চাই আমি।
পুলিশ সূত্র জানায় গত বুধবার ২৬ আগষ্ট ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ, গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে বাদল মিয়া হত্যার কথা স্বীকার করে বলে, বাদল বাহরাইন থাকাকালে দোকান করার জন্য তার দুলাভাই কামাল উদ্দিনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেয়। এর মধ্যে ৩ লাখ টাকা ফেরত দেয়। বাকি ১০ লাখ টাকা ফেরত না দেয়ায় কামাল উদ্দিনের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল তার। সোমবার তার কক্ষে গেলে দরজা বন্ধ করে উচ্চশব্দে স্পিকার গান বাজিয়ে ভাগ্নে কামরুলকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বাদল। পরে লাশ খাটের নিচে রেখে দেয়। ভাগ্নি শিপা ঘরঝাড়ু দিতে গিয়ে তা মরদেহটি দেখে ফেললে তাকে জোর করে ওয়াশরুমে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে লাশ খাটের নিচে রেখে দেয়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে বাদলকে আসামি করে দুই সন্তান হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন বাদল মিয়াকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাদল মিয়াকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়েছে।