বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩, ১০:৪৬ অপরাহ্ন
প্রবাদ আছে প্রেম মানেনা পাহাড় – পর্বত , নদী – সাগর । অনেক বিদেশী সাত সমুদ্র তের নদী পার হয়ে ছুটে এসেছেন প্রেমের টানে বাংলাদেশীর বুকে ,এ কোন নুতন গল্প নয় । এরই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার এলাকায় দুই দেশের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে চলে আসেছেন ভারতের এক তরুণী। প্রেমিক আব্দুস সাত্তারের (২৭) বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়। এরপর তার সম্মতিতে মোবাইল ফোনেই বিয়ে করেন বাহরাইনে থাকা আব্দুস সাত্তারকে। কিন্তু বিজিবি জানার পরই ঘটে যতসব বিপত্তি।
বুধবার ১৬ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার কলাউরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে, তিনি ভারতের আসাম প্রদেশের কামরুপ জেলার চাংসারি থানার টাপার পাথার গ্রামের মুগুর আলির মেয়ে মঞ্জুরা বেগম (২০)।
বিজিবি অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে ওই তরুণীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের উত্তর কলাউড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুস সাত্তার ৫ বছর আগে একটি মামলায় আসামি হলে পালিয়ে যান ভারতের আসামে। সেখানেই তার পরিচয় হয় মঞ্জুরা বেগমের সঙ্গে। তাদের মধ্যে গড়ে উঠে ভালোবাসার সম্পর্ক। বছরখানেক পরে সাত্তার চলে আসেন বাংলাদেশে। দেশে আসার পর তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাহরাইনে পাড়ি জমান। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনের মধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে।
গত মঙ্গলবার বাহরাইন থেকে ওই তরুণীকে ঠিকানা দিয়ে বাংলাদেশ চলে আসতে বললে সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশে চলে আসেন ওই ভারতীয় তরুণী। আব্দুস সাত্তারের ছোট ভাই ইমরান দোয়ারাবাজার সীমান্ত থেকে তরুণীকে বাড়ি নিয়ে আসেন। পরে মঞ্জুরা বেগমের সম্মতিক্রমে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাহরাইনে অবস্থানরত সাত্তারের সঙ্গে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার বিকেলে বিজিবি খবর পেয়ে পাসপোর্ট ছাড়া অনুপ্রবেশের অপরাধে আটক করে মঞ্জুরা বেগমকে। বিজিবি মঞ্জুরারকে বিনা পাসপোর্ট ও অনুমতি ছাড়া দেশে প্রবেশ করার কারণে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করে রাতেই থানায় সোপর্দ করে।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজির আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিজিবি ভারতীয় এ তরুণীকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে নেয়া হবে।