বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩, ১০:৫১ অপরাহ্ন
সিলেট মহানগরীর সদর থানাধীন মজুমদারপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাছুম আহমদ (৩১), সদর, সিলেটকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় ।সে সিলেট মহানগরীর , ১০৬/ক, মজুমদারপাড়ার- মো: আতাউর রহমান মিয়ার (৫৭) ছেলে।
বাংলাদেশে বৈদেশিক মূদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান খাত জনশক্তি রপ্তানি। এ খাতটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বেশ অনেক দিন ধরেই। উন্নত জীবন যাত্রার মান এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হবার কারনে জনশক্তি রপ্তানি বাজার হিসেবে ইউরোপ বেশ জনপ্রিয় । এ সুযোগে এক শ্রেনীর অসাধু দালাল চক্র স্বল্প আয়ের মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে আন্তর্জাতিক চক্রের যোগসাজসে বিদেশে অবৈধভাবে প্রেরণ করছে মাসুদ আহমেদ তাদেরই একজন ।
প্যালেস্টাইন এ্যাম্বাসী কর্তৃক মাসুদ আহমেদের বিরুদ্ধে তুরস্ক, ক্যামেরুন প্রভৃতি দেশে নকল পাসপোর্ট বানিয়ে মানবপাচারের তথ্য জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার নিকট আসে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা ( NSI ) এবং র্যাব-১৪ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে ।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাসুদ আহমেদকে দীর্ঘদিন যাবত জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাব কর্তৃক নিবিড় পর্যবেক্ষণে করে এর সত্যতা প্রমান পায়।
সেমবার ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখ সকাল ০৭:০০ ঘটিকায় সিলেট মহানগরীর সদর থানাধীন মজুমদারপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাছুম আহমকে আটক করে । তার বাসা তল্লাশী করে- তুরস্ক, ইটালী, গ্রীস , মলয়েশিয়া , কানাডা সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জাল পসপোর্টেও ফটোকপি এবং জাল টার্কি ভিসায় ব্যবহৃত এ্যাম্বুস সীল তৈরীর মেশিন উদ্ধার করে জব্দ করা হয় ।
১. এছাড়া মাসুদ আহমেদ – প্যালেস্টাইন এ্যাম্বাসী কর্তৃক মাসুদ আহমেদ এর বিরুদ্ধে তুরস্ক, ক্যামেরুন প্রভৃতি দেশে নকল পাসপোর্ট বানিয়ে মানবপাচারের তথ্য জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার নিকট আসে। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাসুদ আহমেদকে দীর্ঘদিন যাবত র্যাব এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক নিবিড় পর্যবেক্ষণে প্রাথমিক সত্যতার প্রমান পায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাব-১৪ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ২৮/০৯/২০২০ তারিখ সকাল ০৭:০০ ঘটিকায় সিলেট মহানগরীর সদর থানাধীন মজুমদারপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাছুম আহমদ (৩১), পিতা- মো: আতাউর রহমান (৫৭), ১০৬/ক, মজুমদারপাড়া, সিলেট সদর, সিলেটকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং তার বাসা তল্লাশী করে
২. মাছুম আহমেদ বাংলাদেশ, তার্কি, ক্যামেরুনে অবস্থান করে বিভিন্ন দেশের নকল পাসপোর্ট তৈরি করেন। মাছুম মোটামোটি সব দেশের নকল পাসপোর্ট বানালেও ইউরোপ এবং ইসরায়েলের পাসপোর্ট বেশি বানাতো। মাছুম স্প্যানিশ পাসপোর্ট বানিয়ে ২০০০/ইউরো করে বিক্রি করতো। মাছুম বিভিন্ন দেশের ভিসার নকল স্টিকার বানিয়ে ভূয়া ভিসা দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মানবপাচার করে থাকেন।
৩. মাছুম আহমেদ সাধারণত জার্মান, নিউজিল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, রোমানিয়া, ইটালী, গ্রিস, মালয়েশিয়া, কানাডা মানবপাচার করে থাকে। এসব যাত্রীদেরকে নেপাল, তার্কি, দুবাই, দিল্লী, সৌদি আরব, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া দিয়ে পাঠিয়ে থাকেন। মাছুম আহমেদ এসব দেশে যাতায়াত করে থাকেন। মাছুম আহমেদ বিভিন্ন দেশের জন্য ভিসা করে থাকে।
৪. দেলোয়ার, মাহি, জুনেল, আল-আমিন ও আনোয়ার নামক ব্যক্তিদের সাথে মাছুম নিয়মিত যোগাযোগ করে এবং তারাও মানবপাচারে জড়িত। ‘আল-আমানাহ ইন্টারন্যাশনাল’ ভিসা প্রসেসিং সেন্টার এর চেয়ারম্যান ও সিও জুনেল আহমদকে দিয়েই মাছুম ভিসা সংক্রান্ত কাজ করে থাকেন । উক্ত ভিসা সেন্টারটির ঠিকানা ঃ ৩২, সিলেট মিলেনিয়াম (নীচ তলা), জিন্দাবাজার সিলেট। উল্লেখ্য জুনেল আহমেদ সিলেট মিলেনিয়াম শপিং কমপ্লেক্স ব্যবসায়ীক সমিতির কোষাধ্যক্ষ। এছাড়া মাছুম ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে ইমরান নামক একজনের সাথে ঢাকাতে যোগাযোগ করেন।
৫. পূবালী ব্যাংকের রহমান এন্টারপ্রাইজ নামক একাউন্টে মাছুম লেনদেন করেন। M/S Rahman Enterprise 4351901004357 Pubali bank llimited,bondor bazar .
৬. করোনাকালীন সময়ে মানবপাচার বন্ধ থাকায় মাছুম আরিফ নামক সহযোগিতায় চোরাই পথে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ইন্ডিয়া থেকে মোবাইল এনেছেন।।
৭. সৈয়দ রাজু আহমেদ নামক ব্যক্তি মাধ্যমে ডাউকি বর্ডার দিয়ে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ইন্ডিয়ান মোবাইল ফোনের ব্যবসা করে। এবং ফোনগুলো সিলেটের করিমউল্লাহ মার্কেটের মোবাইলের দোকানগুলোতে দিয়ে থাকেন বলে জানা যায়।
৮. মোবাইল ফোন ব্যবসায়ে মাছুমের সাথে তানভীর, জুনেল, আরিফও শেয়ার আছে বলে জানা যায়।
উপরোক্ত ঘটনা সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামী মাছুম আহমদ এর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।