বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁইছড়া এলাকার মোহাম্মদ ইসহাকের মেয়ে আফরোজা বেগম (২৪) এর সাথে ১ বছর পূর্বে উপজেলার উত্তর নলবিলা এলাকার হাসান বশিরের ছেলে ও উপজেলার বদরখালী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রাকিব হাসান বাপ্পী বিয়ে হয়।
স্থানীয়রা জানান,বাপ্পী চকরিয়ায় প্রথম বিয়ে করে, ১ম বিয়ের কথা গোপন করে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে বাপ্পী ।
বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। পারিবারিক কলহের জেরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা পর্যন্ত গড়ায়।
স্থানীয়রা জানান, কিছু দিন আগে মামলা আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে – বাপ্পি স্ত্রী আফরোজাকে তার বাড়িতে নিয়ে যান।
গত ১২ অক্টোবর ২০২০ ইং বাপ্পির মা রোকেয়া হাসান তার পুত্রবধূ, আফরোজা নিখোঁজ হয়েছে বলে আফরোজার বাবার বাড়িতে খবর দেন।
শ্বশুরবাড়ি থেকে আফরোজা বেগম ‘নিখোঁজ, নিখোঁজের ঘটনা শোনার পর গত ১২ অক্টোবর, তার বাবা মোহাম্মদ ইসহাক বাদী হয়ে রাকিব হাসান বাপ্পীকে প্রধান আসামি করে ৪ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় মহেশখালী থানা পুলিশ, স্বজনদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়েও আফরোজার সন্ধান পাচ্ছিল না।
নিখোঁজের পর থেকেই স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। বাপ্পি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়।
পরে — বাপ্পির ১ম স্ত্রীর শিশুকন্যার তথ্যমতে, ১৭ অক্টোবর ২০২০ ইং শনিবার রাত ১১টায় এএসপি মহেশখালী সার্কেল ও মহেশখালী থানার ওসি মো. আবদুল হাই ঘটনাস্থলে গিয়ে বাপ্পির উঠোনের মাটি খুঁড়ে আফরোজার লাশ উদ্ধার করেন।
মহেশখালী থানার ওসি মো. আবদুল হাই, ছয় দিন নিখোঁজ থাকার পর শ্বশুরবাড়ির উঠোনে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেছে গৃহবধূ আফরোজার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হসপিটালে পাঠানো হয়েছে, এবং আসামি সবাই পলাতক ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানান।