শনিবার, ২৭ মে ২০২৩, ০১:৩৫ অপরাহ্ন
বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষ অনেক কিছুই ভক্ষণ করে যেমন – ভাত, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি মানুষের খাবারের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু কোন জ্যান্ত পশুর রক্ত,.মাংস, কলিজা, ভূঁড়ি, অন্ডকোষ খাওয়ার খবর পাওয়া কল্পনাতীত।
তেমনই বিস্ময়কর এক ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার, পৌর শহরের তারাগন এলাকায়।
সোমবার ৯ নভেম্বর ২০২০ ইং দুপুরে পৌর শহরের তারাগন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সে একই এলাকার মো.আলম খাঁর ছেলে তারেক ( ১৮ ) ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, তারাগন পশ্চিমপাড়ার এলাকার আবু তাহের মিয়া, কিছুদিন পূর্বে প্রায় ৫০ হাজার টাকায় তিনি গরুটি কিনেন। প্রতিদিনের মত সোমবার দুপুরে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য একটি উন্মুক্ত মাঠে ঘাস খাওয়ার জন্য রেখে আসেন।
দুপুরে গিয়ে দেখেন গরুটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। একই সঙ্গে পিছন দিক নিয়ে গরুর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে আছে। এর পাশেই ছিল কিশোর তারেক। গরুর মালিককে দেখে তারেক পালিয়ে যায়। পরে তাকে ধরে এনে জিজ্ঞাসা করলে, গরুর পা বেঁধে পিছন দিক দিয়ে কেটে নাড়ি-ভূড়িসহ ভেতরের বিভিন্ন কিছু বের করে খায় বলে স্বীকার করে।
পরে তারেককে আটক রেখে তার পরিবারের সদস্যদের এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে খবর দেন।
আখাউড়া পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক মিয়া বলেন, ঘটনাটি আমাকে জানানো হলে দুই পক্ষের সম্মতিতে আপস করা হয়। তারেক মানসিক রোগী হওয়ায় দুই পক্ষের কারো কোনো অভিযোগ ছিল না। ঘটনার পর তাৎক্ষণিক গরুটি জবাই করা হয়। মাংস বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকার মতো পাওয়া গেছে। গরুর মালিকও যেহেতু গরিব সেজন্য তারেকের পরিবার জরিমানা হিসেবে গরুর মালিককে ২০ হাজার টাকা দেবে বলে জানিয়েছে।
এ খবর মহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা গরু ও খাদককে দেখতে ভীড় করেন।
তারেকের বাবা আলম খাঁ জানান, তার ছেলে দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ। কিন্তু কেন এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সেটি তিনি বুঝতে পারছেন না।
তবে এমন ঘটনায় অন্যান্য গরুর মালিকরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন।
আখাউড়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. কামাল বাশার সাংবাদিকদেরকে জানান, ঘটনাটি শুনে দ্রুত খোঁজখবর নিতে লোক পাঠানো হয়। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে কিশোর মানসিক রোগী। তাকে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন তা না হলে আরো বড় ধরনের সমস্যা হবে।
এ ব্যাপারে আখউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমদ নিজামী বলেন, ঘটনাটি আমরা লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি। জানতে পেরেছি, ওই তরুণ মানসিক রোগী ।