বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০২:৪৮ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
বিজয়নগরের ইউএনও এর বিরুদ্ধে চুরি,ছিনতাইয়ের অভিযোগে কোর্টে মামলা। বিজয়নগরে ভ্রাম্যমান আদালতে ব্যাটারি জব্দ ও কারাদণ্ড প্রদান। বিজয়নগরের বুধন্তি ইউপিতে যুবদলের ওয়ার্ড কমিটি গঠন। বিজয়নগরের বুধন্তি ইউপিতে যুবদলের ওয়ার্ড কমিটি গঠন। বিজয়নগরে মাদকসহ সেই শিবলু গ্রেফতার। বিজয়নগরে গাঁজা সহ ১ জন গ্রেফতার,মাইক্রোবাস জব্দ। বিজয়নগরে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠন নেতৃবৃন্দের পুষ্পার্ঘ অর্পণ। ইসলামপুর আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজের নবনির্মিত চতুর্থ তলা ভবনের উদ্বোধন ও নবীন বরণ। বিজয়নগরে ধান গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা। বিজয়নগরে ৩০ কেজি গাাঁজাসহ সেই আব্দুল্লাহ্ গ্রেফতার।

নাসিরনগরে দলিল লেখক সালাউদ্দিনের কাছে অসহায় এলাকার সাধারণ মানুষ!

স্টাফ রিপোটার,,ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মো. সালাহউদ্দিন সরকার সনদ নং-৫১ প্রায় দশ বছর ধরে নিজস্ব সিন্ডিকেটের প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাতে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, দলিল লেখক মো. সালাহউদ্দিন সরকারের অপকর্মের সহায়তা করছে তার পারিবারিকভাবে গড়ে তোলা সিন্ডিকেটের সদস্য তার বাবা দলিল লেখক হাজী নুরুল হোসেন, বড় ভাই স্ট্যাম্প ভেন্ডার কুতুবউদ্দিন, ছোটভাই দলিল লেখক মোসলেহ উদ্দিন ও বোন নকল নবিশ জাহানারা আক্তার।

অভিযোগ রয়েছে, সাধারণ দলিল লেখকদের জিম্মি করে তার ভাই স্ট্যাম্প ভেন্ডার কুতুব উদ্দিনের কাছ থেকে স্ট্যাম্প কিনতে বাধ্য করেন। কেউ তার নিকট থেকে স্ট্যাম্প না কিনলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এইরকম ঘটনার শিকার অত্র এলাকার দলিল লেখক সমীরণ দাস।

দলিল লেখক সমীরণ দাসের উপর হামলার ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ৭ আগস্ট নাসিরনগর থানায় জিডি করেন- যার নং ২৮৩। আরও একজন ভুক্তভোগী দলিল লেখক মো. জসিম উদ্দিন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৪ আগস্ট, ২০২০ তারিখে নাসিরনগর থানায় জিডি করেন।

তাছাড়া অত্র অফিসের নৈশ প্রহরী-কাম ঝাড়ুদার মো. সাইফুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তিনি নাসিরনগর থানায় গত ০৭ আগস্ট, ২০২০ তারিখে জিডি করেন। যার নং- ২৮২।

অভিযোগ রয়েছে, দলিল লেখক সালাহউদ্দিনের বাবা দলিল লেখক নুরুল হোসেন (সনদ নং-৩১) বিগত ১৯৮৯ সালে খতিয়ান নং ৮৫৯ দাগ নং সাবেক ১০৬৩ হালে ৩০৭৫ থেকে তার ক্লায়েন্ট মফিজ উদ্দিন আনোয়ারুল ইসলামের কাছে ৬০ শতক জায়গা সাফ-কবলা দলিল মূলে বিক্রি করেন।

পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালে আনোয়ারুল হোসেন মারা গেলে তার ছেলে-মেয়েরা সেই একই জায়গা থেকে আমির হোসেনের কাছে ৬০ শতক জায়গা সাফ-কবলা দলিল মূলে বিক্রি করেন।

তারপর ২০১৪ সালে দলিল লেখক নুরুল হোসেন পূর্বের তথ্য গোপন করে জালিয়াতির মাধ্যমে সেই একই দাগ থেকে ১০ শতক জায়গা একটি অছিয়তনামা দলিল করে দেন মফিজউদ্দিনের ছেলেদের কাছে।

নাসিরনগর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির একাধিক নেতা-কর্মী জানান, সমিতির পক্ষ থেকে সম্মিলিতভাবে গত ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর, ২০১৯ সালের ২৮ জুন, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর ও ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে ৪ দফায় দলিল লেখক মো. সালাহউদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, নানারকম অনিয়ম, অফিস প্রাঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, সাধারণ মানুষকে হয়রানি, সমিতির শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে রেজুলেশন প্রেরণ করেন সাব রেজিস্ট্রার নাসিরনগর, জেলা রেজিস্ট্রার বি-বাড়িয়া, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বি বাড়িয়া, মহাপরিদর্শক নিবন্ধন বরাবর।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাব রেজিস্ট্রার নাসিরনগর অফিস শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে দলিল লেখক মো. সালাহউদ্দিন সরকারকে ৯ মাসের জন্য দলিল লেখার কাজ হতে বিরত রাখার আদেশ দেন। পাশাপাশি দলিল লেখার সনদ নবায়নের সুপারিশ ব্যাতিরেকে জেলা রেজিস্ট্রার বি.বাড়িয়াকে প্রেরণ করেন।

তার এসব অপকর্মের জন্য সর্বশেষ ৩০ সেপ্টেম্বর অপরাধ স্বীকার করে মুচলেকা দিলেও তার অপরাধকর্ম বর্তমানে লাগামছাড়া ও বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। তার অপরাধকর্ম ও জিম্মিদশার কাছে সাব রেজিস্ট্রার নাসিরনগর অসহায় এবং জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।

এলাকা বাসীর সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে, দুর্নীতির মাধ্যমে দলিল লেখক সালাহউদ্দিন সরকার নাসিরনগর সদরে কাশীপুর এলাকায় দশ কাঠা জায়গার উপর কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি নির্মাণ করেছে। দলিল লেখক সালাহ উদ্দিন সরকার শুধু দুর্নীতি করেই ক্ষান্ত হননি, নাসিরনগর উপজেলার সাব রেজিস্ট্রী অফিসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এই নিয়ে সচেতন মহলের প্রশ্ন, তার এই অপকর্মের টির জোর কোথায়?

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত bijoynagartv ওয়েবসাইটের কোন তথ্য কপি করা আইনত দণ্ডনীয়।
Developer: DesigUs
error: ওয়েবসাইটের তথ্য কপি করা আইনত দণ্ডনীয়