বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩, ১০:৫৭ অপরাহ্ন
মসজিদের কক্ষে তরুণী নিয়ে ফুর্তি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছেন মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আলী। এলাকার শতশত লোক গিয়ে ইমামের কক্ষে ধাক্কাধাক্কি করলে পেছনের দরজা দিয়ে মেয়েটিকে বের করে দেয় ইমাম।
অবস্থা বেগতিক দেখে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি সালাউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে থামায়।
আজ শনিবার ২৮ নভেম্বর ২০২০ ইং সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের আশরাফবাদ গাউসুল আজম জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, হোসেনপুর গ্রামের এক লোক মারা গেলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিতে লোকজন মসজিদে গিয়ে ইমামকে খোঁজ করে। না পেয়ে মসজিদ ঘেষা ইমামের থাকা কক্ষের জানালার ফাঁক দিয়ে ইমামকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় জনতা। পরে লোকজনকে খবর দিলে এই দৃশ্য দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে ইমাম পেছনের দরজা দিয়ে মেয়েকে বের করে দেয়। মেয়েটি একই উপজেলার আসাদনগর গ্রামের। দুইজনই অবিবাহিত।
পুলিশ ইমামের ফেসবুক ইনবক্সে গিয়ে দেখতে পায় মেয়ের সাথে অনেক আপত্তিকর চ্যাটিং। এই ঘটনা দেখতে কয়েকশ নারী পুরুষ মসজিদের সামনে ভিড় জমায়। পরে মসজিদ কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন কমিটির সাথে আলোচনা করে তাৎক্ষণিকভাবে ইমামকে বহিস্কার করে।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ সেলিম এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন ইমাম এতো নিকৃষ্ট হতে পারে ভাবতে পারছেন না। তার মতো ইমামের পেছনে নামাজ পড়াটা উচিৎ হয়নি। মোহাম্মদ আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার পুরান কদমতুলী গ্রামের মো: ফয়জুর রহমানের ছেলে।
মসজিদ কমিটির লোকদের সাথে কথা বললে তারা জানান এখন থেকে আর কোন অবিবাহিত ইমাম নিয়োগ দেওয়া হবে না।
মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আলী মেয়েটির পূর্ব পরিচিত। তাকে দরজা বন্ধ করে কক্ষে নেয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে তার সাথে মেলামেশা করেনি বলে দাবি করেছেন।
এবিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে মসজিদে গেছেন। মেয়েটা পালিয়ে গেছে। ইমামের সাথে মেয়েটির সম্পর্ক রয়েছে। মেয়ের পক্ষ থেকে যেহেতু অভিযোগ দেয়া হয়নি তাই পুলিশ মুচলেকা নিয়ে তার বড় ভাই আউয়ালের জিম্মায় ছেড়ে দেয় ইমামকে।