রবিবার, ০৪ Jun ২০২৩, ১০:৩০ অপরাহ্ন
ব্রাহামণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় মির্জাপুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত ) প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ঘুষ প্রদানের অভিযোগ পাওয়া যায় ।
জানাযায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মির্জাপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা দেওয়াল নির্মাণের কন্ট্রাক পায় জনৈক আ: ছাত্তার ।
দীর্ঘ ১ মাস পূর্বে দেওয়ালের কাজ আরম্ভ করে । দেওয়ালের কাজে শুরু থেকেই নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে শুরু করে । কন্ট্রাক্টর জেলা সদরের বাসিন্দা হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে থাকলে স্থানীয় জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ।
এলাকার জনসাধারণ মৌখিক ভাবে উপজেলা সহকারি ইঞ্জিনিয়ার মো: আব্দুর রাজ্জাককে এ বিষয় অবহিত করে , কিন্তু অভিযোগ ,অজ্ঞাত কারণে কোন কাজে না আসায়, প্রবল বাধার মুখে এক পর্যায়ে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কন্ট্রাক্টর ।
গত মঙ্গলবার ২৪ নভেম্বর ২০২০ ইং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিভারাণী মজুমদার, গ্রামের অমর দেব নাথের টং দোকানের সামনে এসে প্রেসক্লাব বিজয়নগরের সভাপতি মৃণাল চৌ: লিটনকে ডেকে আনে ।
দোকান মালিক আমর দেবনাথ ও দোকানে থাকা লোকজন ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: রাষ্টু মিয়ার উপস্থিতিতে মৃনাল চৌধুরীর হাতে ৩০০০(তিন হাজার) টাকা তুলে দেয় ও সে জানায় এ টাকার মধ্যে মৃনাল ২০০০ (দুই হাজার) টাকা ও সভাপতি রাষ্টু মিয়া ১০০০ (এক হাজার) টাকা নেওয়ার জন্য ।
টাকার বিষয়ে জানতে চাহিলে শিক্ষিকা জানান , কন্ট্রাক্টারের কাজে যেন বাধা দেওয়া না হয়, কোন রকমে কাজ সারতে পারলেই হয় । এ কথ্য় মৃণাল ও রাষ্টু মিয়া উক্ত টাকা নিতে অস্বিকৃতি জানালে শিক্ষিকা এক প্রকার জোর পূর্বক চাপিয়ে চলে যায়।
পরক্ষণে এ টাকা নিয়ে মৃনাল ও রাষ্টু উপজেলা নির্বাহি অফিসার বিজয়নগরের নিকট হাজির হয়ে বিস্তারিত জানিয়ে উক্ত টাকা জমা দেয় ।
এব্যপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার জনাব কে এম ইয়াসির আরাফাত বলেন ,এব্যপারে আমি অবগত আছি ও উপজেলা সহকারি ইঞ্জিনিয়ার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সমন্বয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে ।
এব্যপারে উপজেলা সহকারি ইঞ্জিনিয়ার মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত আছি ও তদন্ত পূর্বক দ্রæত সময়ের মধ্যে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার,জানান দ্রæত সময়ের মধ্যে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
মির্জাপুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত ) প্রধান শিক্ষিকা বিভারাণী মজুমদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে,কান্না জরানো কন্ঠে বলেন মৃনালকে আমি টাকা দিয়েছি কিন্তু টাকা আমার নায়।
মৃনাল চৌধুরী লিটন বলন , নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ কাজ করার জন্য প্রধান শিক্ষক আমাকে যে টাকা দিয়েছে তাহা নি:সন্দেহে ন্যাক্কার জনক ঘটনা আমি এর নিন্দা ও প্রয়োজনীয় গ্রহণের দাবি জানাই ।