শনিবার, ২৭ মে ২০২৩, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ভোলাচং গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী আলেয়া ( ছদ্মনাম) তাহার ৫ বছরের কন্যা শিশূ বিছানায় প্রস্রাব করে,(তাহার বিশ্বাস তাবিজে মুক্তি মিলবে) তাই মেয়ের জন্য তাবিজ আনতে শ্রীরামপুর গ্রামে, আবুল উলায়া খানকা শরীফের ইমাম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম (৫০) হুজুরের কাছে এসে বিস্তারিত বলে।
লম্পট ইমাম গ্রবাসীর স্ত্রীকে ঘরে রেখে সুকৌশলে দরজা আটকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে ।
বর্তমানে ধর্ষিতা ২ মাসের অন্ত:সত্ত্বা ।
ধর্ষিত নারী নিজে বাদী হয়ে ইমামের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিত অন্ত:সত্ত্বা নারী আলেয়া, তার ৫ বছরের শিশুকন্যা জন্য তাবিজ আনতে গেলে দরজা বন্ধ করে দিয়ে জোর করে পূর্বক ধর্ষন করেন মাওলানা সিরাজুল ইসলামা।
অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ৮নং বুল্লা ইউনিয়নের বড়গ গ্রামের মৃত আশিকুল ইসলামের ছেলে।
ধর্ষিত নারীকে হুমকি দেয়া হয় কারো কাছে বললে কিংবা অভিযোগ করলে ধর্ষিত নারী ও তার শিশুকে (বান) মেরে ক্ষতি করা হবে।
এসআই রনি সুরেশ্বর রানা ও এসআই মনিরুল ইসলাম বাদীর মামলার ভিত্তিতে আসামি ইমাম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম কে গ্রেফতার করে।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর ইসলাম বলেন, নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আমিনুর রশিদ জানান, উপজেলার ভোলাচং গ্রামের বাসিন্দা ওই প্রবাসীর স্ত্রী তার মেয়ের জন্য তাবিজ আনতে শ্রীরামপুর গ্রামের আবু উলাইয়া খানকা শরীফ যান। সেখানকার তত্ত্বাবধায়ক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন রোগের জন্য তাবিজ এবং ঝাড়ফুঁক করতেন। তাবিজের জন্য ওই প্রবাসীর স্ত্রী, খানকা শরীফে আসা-যাওয়া ছিল। আসামীকে মামলার ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে দ্রæত তাকে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।