রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০২:২৩ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় হলূদ সাংবাদিকতার দৌরাত্ম চরমে । আশু সুস্থ্য ব্যবস্থা না হলে ভবিষ্যতে এর ভয়াবহতা আরো প্রকট আকার ধারণ করবে, শুনতে হবে চড়া মাশুল। রাস্তায় বেরহলেই চোখে পড়বে অসংখ্য সাংবাদিক , যাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা প্রশ্ন ? কথিত সাংবাদিক রয়েছে, যাদের খবরের কাগজে নিয়োগ নেই। তারা নিজেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, চটকদার নামের ইউটিউব চ্যানেল, বিভিন্ন নামে অনলাইন নিউজ পোর্টাল খুলে কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেরাই আইডি কার্ড তৈরি করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে সাংবাদিক কার্ড বিক্রি করছেন।
এসব কথিত সাংবাদিকরা বিভিন্ন অপরাধ অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, সচেতন নাগরিক সমাজে রয়েছে নানা কৌতুহল ! এসব সাংবাদিকদের কারনে জাতীয় দৈনিক প্রত্রিকায় নিয়োগ প্রাপ্ত প্রকৃত সাংবাদিকরা এখন কোনঠাসা, প্রকৃত সাংবাদিকদের প্রতি সাধারন মানুষের আস্থা ,বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে ।
গণহারে বেড়েই চলেছে লেবাসধারী সাংবাদিক রাস্তায় বাহির হলেই বীরদর্পে অকপটে পরিচয় দেয় আমি ও সাংবাদিক। যার ফলে সাধারন মানুষ সংবাদ কর্মীদের এখন বক্রকটাক্ষে নিরক্ষণ করে ।
নম্বর বিহীন মোটরসাইকেলের সামনে সাংবাদিক লিখা স্টিকার লাগানের পুলিশ ও তাদের সাইকেলের বৈধ কাগজপত্র যাচাই করছেনা, লোকমুখে গুঞ্জন আছে চোরাই মোটরসাইকেল ব্যবহার করছে তাহারা।
বিভিন্ন সভামঞ্চে, রাজনৈতিক ময়দানে, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে, মিলাদ মাহফিল, স্বরণ সভায় যে কোন অনুষ্ঠানে বিনা আমন্ত্রনে কথিত এসব সাংবাদিকদের উপস্থিতির কারনে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, সচেতন নাগরিক সমাজসহ বিজয়নগরবাসি এখন ত্যেক্ত ও বিরক্ত।
সরকার স্বিকৃত সাংবাদিক হচ্ছে রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ । সাংবাদিকতা হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ, সম্মানজনক পেশা। সে জন্যই সাংবাদিকদের সমাজের অতন্দ্র প্রহরী বা ‘গেট কিপারস’ বলা হয়। তাছাড়া সাংবাদিক সমাজ জাতির বিবেক হিসেবে চিহ্নিত। যারা রাষ্ট্র, সমাজ ও মানুষকে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে থাকেন।
সাংবাদিকতা পেশার অন্যতম লক্ষ হওয়া চাই সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানবাধিকার সংরক্ষণ, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধাচারণ, অসহায়, অধিকার বঞ্চিত দূর্বল জনগোষ্ঠীর পক্ষধারণসহ সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা।
এসব কথিত সাংবাদিকদের ফাঁদে পড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ এ নিয়ে গত ১১ই জানুয়ারী ২০২১ ইং উপজেলার আইন শৃংখলা অনুষ্টানের প্রধান অতিথি র আ ম উবাইদুল মোক্তাদির চৌধুরী এমপি ,এর উপস্থিতিতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জাহাঈীর আলম রমজান হলুদ সাংবাদিকদের সম্পর্কে প্রেসক্লাব বিজয়নগর সভাপতি মৃনাল চৌধুরী লিটনের নিকট তাদের পরিচয় জানতে এবং নিকট তাদের বিরোদ্বে ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানান । তিনি এক অভিযোগে বলেন, কতিপয় লোকজন সাংবাদিক পরিচয়ে সংবাদ প্রকাশের কথা বলে অর্থ আদায় করছে ও অপসংবাদ প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করেন,
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকের অভিযোগ, অল্প শিক্ষিত প্রাইমারী পাশ সাংবাদিক হয় কেমনে । ফেসবুক ইউটিউব চ্যানেল, নিউজ পোর্টালের কার্ড বুকে-পিঠে ও কোমরে ঝুঁলিয়ে থানা, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন পূর্বক চাঁদাবাজি ও নানা কাজের তদবিরসহ বীরদর্পে অনেক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
অনেক সাধারন মানুষ ভুয়া সাংবাদিকদের হয়রানির শিকার হয়ে ভয় আতঙ্কে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। ।
এসব হলুদ সাংবাদিকদের চাঁদাবাজীতে অতিষ্ট বিজয়নগরের সচেতন মহল। তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রসাশন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রকৃত সংবাদকর্মীদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিক মহল ও সুশীল সমাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাজনৈতিক কর্মী বলেন, প্রতিদিন থানার সামনে দেখবেন সাংবাদিক পরিচয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি সন্ধ্যার পর ঘুর ঘুর করে। ওরা সাংবাদিক পরিচয়ে থানায় গিয়ে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মামলার তদবির করে।
এই সমস্ত অভিযোগ শুনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসনের সংসদ সদস্য বিজয়নগর উপজেলার স্থপতি, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন এই সমস্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে প্রশাসন সহ সকলকে সচেতন হতে হবে এবং তাদেরকে সার্চ করলে সঠিক পরিচয় বাহিরে হয়ে আসবে ।
এ বিষয়ে প্রেসক্লাব বিজয়নগরে সভাপতি মৃনাল চৌধুরী লিটন বলেন হলুদ সাংবাদিকতা, জনৈক সাংবাদিক আহ্বায়ক হিসেবে তিনি পরিচয় দেন তার লেখাপড়া নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে তিনি নিজেকে আবার মানবাধিকারকর্মী বলে পরিচয় দেন অথচ তিনি তার মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন, প্রেসক্লাব বিজয়নগরের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসন ও বিজয়নগর থানা কে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি কিন্তু প্রশাসন অদৃশ্য কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বিজয়নগর উপজেলার স্থপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখালেখি করেছে এছাড়া র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে লেখালেখি করার জন্য গত দুই মাস পূর্বে উপজেলার পাহাড়পুর ইউপির কচুয়া মোড়া এলাকা থেকে একজন ছাত্রদল নেতাকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করলে তাকে ছাড়িয়ে নিতে তদ্বির করে এই হলুদ সাংবাদিকদ্বয়, এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি ।