শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩, ০৯:৫১ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে একযোগে ঘর প্রদান উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয় ।
আজ শনিবার ৩০ জানুয়ারি ২০২১ ইং সকাল ১০ টায় উপজেলা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (মুক্তিযোদ্ধা সন্তান) কাজী মো: ইয়াছির আরাফাতের সভাপতিত্বে সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আল-মামুনের সঞ্ছালনায় সভায় প্রধান অতিথির দায়িত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আশ্রয়ন প্রকল্প- ২এর আওতায় গুচ্ছগ্রাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ ৩ সংস্থাসমূহ (ক) তালিকাভুক্ত অসহায় ভূমিহীন গৃহহীন বয়স্ক দুস্থ প্রতিবন্ধীদেরকে দেওয়া হচ্ছে এ ঘর । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সার্বিক তত্তাবধানে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী উপজেলায় ৯ টি ইউনিয়নে মোট ১০০ পরিবারকে ১০০টি ঘর সরকারি খাস ২ শতক জায়গার উপর, সুপ্রশস্ত বারান্দাসহ দুইটি শয়ন কক্ষ বিশিষ্ট সাথে রান্নাঘর চারদিকে ইটের দেয়াল মাথার উপরে লাল – সবুজ টিনের ছাউনি সাথে রয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার ব্যবস্থা, ঘর নির্মাণ ব্যয় বাবদ ধরা হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা । বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছে, ঘরের দৃশ্য নয়নাভিরাম ,জায়গার নামজারি সহ দুই শতক জায়গার দলিল হস্তান্তর এর মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করেন,
প্রধানমন্ত্রী মেগা প্রকল্প সারাদেশে প্রায় ৭০,০০০ ঘর প্রদান করে সারা বিশ্বে এক বিড়ল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ।
উপকারভোগী তানজিনা আক্তার. সিঙ্গারবিল এবং কুতুবুল ইসলাম ,বুধন্তী ইউপির, মাইক হাতে অশ্রæসিক্ত নয়নে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (মুক্তিযোদ্ধা সন্তান) কে এম ইয়াসির আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ডিসি মহোদয়ের পরামর্শক্রমে, বিজয়নগরের রুপকার র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী এমপির প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় , গুচ্ছগ্রাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এর সহায়তায় এ ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, উপকারভোগীদের হাতে ঘরের জায়গার মালিকানা বুঝিয়ে দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসকের দস্তখত সম্বলিত একটি সার্টিফিকেট, জায়গার খতিয়ান স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের নামে নামকরণ সহ কবুলিয়ত দলিল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
১০০ জন উপকার ভোগীকে তাদের হাতে দলিল তুলে দেওয়া হয়েছে, মোট কাজের ৪০ শতাংশ ঘর সম্পন্ন হয়েছে অল্পদিনের মধ্যে বাকী কাজ সম্পন্ন করে তা বুঝিয়ে দেয়া হবে।এবং তাদের জন্য সাবমারসিবল পাম্পের সাহায্যে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে এ ঘর দেওয়া হয়েছে বাকি একটি ইউনিয়ন, চরইসলামপুর ইউনিয়নের উঁচু জায়গা সংকটের কারণে এ সুবিধা থেকে বঞ্ছিত হয়েছে তবে পরবর্তীতে অন্য প্রকল্পের আওতায় তাদেরকে পুনর্বাসন করা হবে। সংবিধানে মানুষের যে মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে তার সবটুকু সুবিধা পাবেন এই আশ্রিত মানুষেরা ।
তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে লক্ষ্ীপুর জেলা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিলেন এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী আজ এর বাস্তবায়ন করছেন । এটা সারা পৃথিবীতে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে বলেন, এ ঘর ও জায়গার মালিক স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের নামে নামকরণ ও নামজারি করা হয়েছে । পরিশেষে তিনি সবিধাভোগীদের এ বলে সতর্ক করেন , প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার বিক্রয়যোগ্য নহে ” যদি এমন হয় তবে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হবে ” কারন হিসেবে তিনি বলেন,পূর্বে সরকার বহুবার প্রান্থিক জনগণকে জায়গা জমি দিয়েও কোন লাভ হয়নি অন্যের কাছে বিক্রি করে তাহারা আবার নি:স্ব হয়েছে।
উক্ত অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান নাসিমা লুৎফর রহমান, সহকারী কমিশনার ভূমি মাহবুবুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা খিজির হোসেন প্রমানিক, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবিত্রী রাণী কর্মকার সাথী, মুক্তিযোদ্ধা দবির আহমেদ ভূঁইয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুর জাহান, সমাজসেবা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম ,উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম (মাস্টার) ,সাধারণ সম্পাদক রাসেল খান ১০ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিগণ ,রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ।