রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর, (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের রানিয়াচং গ্রামের ছিপত আলীর ছেলে তিন সন্তানের জনক মোঃ মফিজ মিয়া,
শত অভাব অনটনের মাঝেও ধরে রেখেছেন বাপ দাদা চার পুরুষের পৈত্রিক পেশা ঘোড়া দিয়ে ঘানি ভাঙ্গা। সরেজমিন এলাকায় গিয়ে দেখে গেছে তার বাড়ীতে রয়েছে দুইটি ঘানি। আর ঘানি টানতে রয়েছে দুইটি ঘোড়া।
মফিজ জানায়, একটি তার শ্বশুরের দেয়া। প্রতিদিন দুইটি ঘানিতে ভাঙ্গানো হয় ৫০ কেজি সরিষা। আর প্রতি লিটার খাঁটি সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা ধরে। তবে সরিষার দামের উপর তেলের মূল্য কম বেশী হয় বলেও জানান তিনি। মফিজ জানান,তার পরিবারে তিন সন্তান, স্ত্রী ও বাবা সহ ছয়জন সদস্য রয়েছে। এই ঘানি ভাঙ্গার তেল বিক্রি করে সামান্য আয় দিয়ে অতি কষ্ঠে অভাব অনটনের মাঝে চলে তার সংসার। পুঁজির অভাবে ক্রয় করতে পারেনি সরিষা। অভাবের সংসারে ছেলে মেয়েদের পড়াতে পাড়ছে না স্কুলে। তাই মফিজ ও তার পরিবারের লোকজন।
সরকারী সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছে।
কথায় হয়. আধা কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাহেতুরা গ্রাম থেকে তেল ক্রয় করতে আসা ফিরোজ মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, বাজারে ভাল তেল পাওয়া যায়নি। তাই এতদুর থেকে পায়ে হেটে এসে ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেল নিয়ে ব্যবহার করি।
ফিরোজ মিয়া আরো জানান, মফিজ মিয়ার সরিষার তেল শতভাগ গুণগত মান সম্পন্ন ও শতভাগ খাঁটি সরিষার তেল হওয়ায় প্রতি দিন উপজেলার বাহিরে জেলার সদর ও রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত চলে যাচ্ছে।