মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর দুরবস্থার চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ উপজেলায় ১০ টি ইউনিয়নে মোট ১০০ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম ও উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন মুঠোফোনে জানান গত বিগত বছরে করোনা মহামারী হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য সরকার ১৭ ই মার্চ ২০২০ ইং থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন, কিন্তু ২০২১ ইং এর পহেলা জানুয়ারিতে নতুন বই বিতরণ নতুন ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সকল শিক্ষকের উপস্থিতি সহ অফিস খোলা রাখা ও ছাত্র-ছাত্রীর উপবৃত্তি সহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
সরেজমিনে ৩ মার্চ ২০২১ ইং বেলা ১২ টায়, চরইসলামপুর ইউনিয়নের মাধবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে সেখানে স্কুল তালা বন্ধ অবস্থায় থাকে দেখা যায়, পতাকা উত্তোলনের স্থানে নেই কোন দন্ড, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ ছিদ্দিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান করোনার জন্য স্কুল বন্ধ তাই বন্ধ রেখেছি ,তবে বই বিতরণ করেছি। স্কুলের পার্শবর্তী লোকজন সহ এলাকার ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবক বৃন্দ বলেন, করোনাকালীন সময় থেকে এ পযন্ত বন্ধ আছে, শুধুমাত্র বই বিতরণের জন্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন এরপর আবারো বন্ধ, তাহারা আরো জানান অবহেলিত জনপদ যাতায়াতে কিছুটা অবহেলার কারণে শিক্ষকরা ইচ্ছেমত আসা যাওয়া করেন। এর কোন বালাই নেই, আরো জানান,নুতন বছরে বই বিতরনের জন্য শুধু মাত্র দু -তিন দিন শিক্ষকগণ স্কুলে উপস্থিত ছিল তাও বেলা জোহরের আজান পর্যন্ত।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান এ অনিয়মের বিষয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, প্রধান শিক্ষককে স্কুল বন্ধের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেলে তিনি করোনা মহামারীর বন্ধ বলে আমাকে সান্তনা দিয়েছেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সহ সকল শিক্ষকগণ মাঝে মধ্যে মনের খুশিতে আসেন ও চলে যান। তিনি আরো জানান, ২০১৯- ২০২০ ইং অর্থবছরের স্লিপের ৫০হাজার টাকার থেকে মাত্র ২০ হাজার টাকার মালামাল ক্রয় করেছে বাকী টাকার হিসাব জানতে আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানাব। টাকা উত্তোলনের জন্য প্রতিবারই আমার কাছ থেকে খালি কাগজে দস্তখত করিয়ে নিয়ে যান প্রধান শিক্ষক এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান দানা মিয়া বলেন, অনৈতিক কাজ যেই করুক তহার শাস্তি হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,শাহনাজ পারভীনকে অবগত করলে তিনি বিষটি দেখবেন বলে জানান,
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ) কেএম ইয়াসির আরাফাত বলেন, সরকারের সিদ্ধানাত পাঠদান দান বন্ধ কিন্তু অফিস খুলে রাখতে হবে, সরকারের নির্দেশ অবশ্যই সবাইকে মানতে হবে এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।