রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস কক্ষ বন্ধ কিন্তু বাহিরে উড়ছে জাতীয় পতাকা, স্কুলের বারান্দায় লতা পাতা গাছের পাতা,মাঠে গরু-ছাগল চারণ,স্কুল মাঠে ডাম্পিং, অফিস তালাবদ্ধ সহ নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে,যেন দেখার কেহ নেই।
সরেজমিনে ঘুরে দেখ যায়, ৯ই মার্চ রোজ মঙ্গলবার বেলা ১.৫০ মিনিটে মেঘশিমুইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ কিন্তু জাতীয় পতাকা দক্ষিণা বাতায়নে পত-পত করে উড়ছে,
সাংবাদিকদের উপস্থিতি জানতে পেরে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা জামান দৌড়ে এসে পাশের একটি মুদি মালের দোকান থেকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের চাবি নিয়ে অফিস কক্ষ খুলেন। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকল শিক্ষকদের তিনি ছুটি দিয়েছেন।
অফিস কক্ষ বন্ধ কিন্তু বাহিরে জাতীয় পতাকা উড়ছে ”এটা জাতীয় পতাকার প্রতি আমর্যাদা প্রদর্শন”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদোত্তর দিতে পারেন নাই।
বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, সভাপতি মোঃ আব্দুল মন্নাফ তার শশুর হয়।
বিদ্যালয়ের বরাদ্ধকৃত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের মেরামত- সংস্কার ও অন্যান্য কাজের জন্য ১৫০০০০/- ও স্লিপের ৭০,০০০/- টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান এবং সাংবাদিকদের সাথে খারাফ আচরণ ও তথ্য উপাত্ত দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং সাথে সাথে হরষপুর ইউনিয়ন সমন্বয়কারী ও তার ভগ্নীপতি, হরষপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যারয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবীরের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করে তার অবস্থান আরো সুদৃঢ় করেন।
পরে হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের সাথে ফোনালাপে এসব অন্যায় অপকর্মকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে উচ্চ বাচ্যে তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি মোঃ মন্নর আলী জানান,তিনি সহসভাপতি থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের নানান বরাদ্ধ এবং বিভিন্ন বিষয়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনি অবগত নন। এত দিন শশুর জামাই মিলে একক ভাবে যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, কারো কোন স্বাক্ষর ও অবগত করার প্রয়োজন মনে করেন নাই।
এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহনেওয়াজ পারভীন জানান, সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি ও বই বিতরণের জন্য সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত প্রতিটি বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষকদের উপস্থিতিতে অফিস কক্ষ খুলে রাখার বিধান রয়েছে। উক্ত বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ) কেএম ইয়াসির আরাফাত বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত পাঠদান দান বন্ধ কিন্তু অফিস খুলে রাখতে হবে, সরকারের নির্দেশ অবশ্যই সবাইকে মানতে হবে এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।