বৃহস্পতিবার, ০১ Jun ২০২৩, ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে,ককটেল ফাটিয়ে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ২২ এপ্রিল ২০২১ ইং উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের পশ্চিম মিরাশানী গ্রামের মো:শামছুল হুদার বাড়িতে রাত ১০.৫ মিনিটে এ গঠনা ঘটেছে বলে জানাযায়। ভূক্তভোগী মো:শামছুল হুদা জানায়, গ্রামে তাহাদের কোন শত্রু নেই, কারো সাথে কোন প্রকার মনোমালিন্য নেই। বৃহস্পতিবার রাত ১০.৫ মিনিটে ১০/১৫ টি মোটর সাইকেলযোগে ২০/২৫ জনের একদল ডাকাত তার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে আলমারী ভেঙ্গে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা , ৪ টি স্মার্টফোন সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ, একটি লাইট নিয়ে যাওয়ার সময় আরেক রুমে ঢুকে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এতে ব্যবহৃত তোষক বালিস পুরে যায়, প্রস্থান কালে ঘরের দরজার পাশে ও বাড়ির পেছনে একটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায় এমনকি রাস্তায় আরো ৫/৬ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মো শামছুল হুদার ছেলে মাসুদুল হোসেন জানান,ডাকাতির সময় তার মাথায় পিস্তল ঠেকানো হয়, ডাকাত দলের প্রস্থানকালে তাহারা শুধুমাত্র বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: মাহবুবুর রহমানকে চিনতে পারে .অন্যদের মাথায় হেলমেট থাকায় তাদের চিনতে পারেনি। ডাকাতিকালে ফেলে যাওয়া ৩ টি তাজা ককটেল , ৭টি বোতল পেট্রোল, ও ১ টি মোবাইল ডিভাইজ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মো শামছুল হুদার আরেক ছেলে মোছেন হোসেন জানান, ককটেল বিস্ফোরণে স্প্লিন্টার তার পিঠে বিদ্ধ হয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: মাহবুবুর রহমান জানান, গতকাল আমি বিজয়নগরে ছিলাম না.এবং এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, তাদেরকে আমি চিনিনা, শুধু শুনেছি আদের এক ভাই আতাউল্লাহ নামে, সে জামাত-শিবিরের ঢাকার বড় নেতা, তাহারা আমার মানক্ষুন্নের পায়তারা করছে।
এ বিষয়ে বর্তমান মেম্বার মো: আলি আজগর জানান রাতে একটি বিকট আওয়াজ শুনেছি, ডাকাতি হয়েছে কি না তা আমি জানিনা, তবে এ গ্রামে তাদের কোন শত্রু নেই,
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার এসআই মাহমুদুর রহমান জানান, ওই রাতে আমার নাইট ডিউটি ছিল. ওসি সাহেবের নিকট থেকে অবগত হয়ে ঘটনা স্থলে যাই হামলাকারী কাউকে পাইনি তবে বারান্দায় একটা তোষক পোড়া নেভানো অবস্থায় দেখতে পাই, ঘরের আসবাবপত্রের কোন ক্ষতি দেখিনি। এলাকাবাসি আওয়াজ শুনেছে কিন্তু কোন প্রকার হামলার কথা স্বীকার করেনি। অবিস্ফোরিত ককটেল ৭ বোতল পেট্রোল, মোবাইল ডিভাইজ সম্পর্কে আমরা অবগত নই।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্য জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে তাদের বাড়িতে হামলা হয়েছে এই মর্মে রাতেই পুলিশ পাঠিয়েছি , অবিস্ফোরিত ককটেল ও পেট্রোলের বিষয়ে আমরা অবগত নই, এ বিষয়ে থানায় কোন প্রকার অভিযোগ পায়নি। তবে এলাকায় জনশ্রুতি আছে শামছুল হুদার এক ছেলে মো: আতাউল্লাহ ঢাকায় লেখাপড়া করে, ভিপি নুরের সাথে তাহার হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, ভিপি নুর নুতন দলগঠনে ঐ দলে ভাল পদের জন্য নিজেরাই এমন করে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন, বিশালঘর হুজুরের নাতি আতাউল্লা ঢাকায় থাকে, সে জামায়াত শিবিরের বড় নেতা, নিজেই তার ঘরে তার দ্বারা এ কাজ সম্ভব।
এ বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মো: মনিরুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে লোকজন সমেত রাত ১০.৩০ মিনিটে তাদের বাড়ি যাই,বারান্দায় একটি তোষক পুড়া অবস্থায় দেখতে পাই, পিস্তল ঠেকিয়ে ডাকাতি, টাকা নেওয়া,তাজা বোমা,পেট্রোলের বেতল,মোবাইল ডিভাইজ সম্পর্কে আমাকে কিছু বলেনি ও ডাকাতির কোন আলামত লক্ষ করা যায়নি।এমনকি বাড়ির আশপাশের লোকজন ও অবগত নয়।
উল্লেখ্য ভূক্তভোগী সামছুল হুদা একজন অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসার শিক্ষক, পৈত্রিক সুত্রে তাহারা পার্শবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বিশালঘর এলাকার নিবাসী ছিল,দেশ ভাগের পর তাহারা দেশের সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের হাটখলা গ্রামে বসবাস শুরু করে, পরবর্তীতে ইউনিয়নের পশ্চিম মিরাশানী গ্রামে স্থায়ী নিবাস গড়ে তুলে।