শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩, ০৬:১৪ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় চেয়ারম্যান সরকারী জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ১০ জুন ২০২১ ইং তাং উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর, সরকারি ভুমিতে নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য গণ সাক্ষরের ভিত্তিতে লিখিত অভিযোগ করেন এলাকার জনগণ।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টান মনিপুর গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে শেখ হাসিনা সড়ক। টান মনিপুর মৌজার সীমনা বাজারে (আশ্রয়ন শিবির) সরকারী ভূমিতে , পূর্বে ফ্লাড সেন্টার এবং সাবেক বিডিআর ক্যাম্প ছিল। বর্তমানে উক্ত ভুমি সরকারী খাস খতিয়ানে অর্ন্তভ‚ক্ত হইয়া পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। এমতাবস্থায় অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরূজ্জামান (রতন) বর্ণিত সরকারি ভ‚মি (আশ্রয়ন শিবির) জবরদখল করিয়া সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে ব্যক্তি স্বার্থে দোকান ঘর নির্মাণ করিতেছে। এমতাবস্থায় এলাকার জনগণ তাতে বাধা নিষেধ করিলেও উক্ত বাধা উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় এলকায় আইন শৃক্ষলার চরম অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে এলাকা ঘুরে জানাযায়,উপজেলার শেখ হাসিনা সড়কের পাশে অবস্থিত পত্তন ইউনিয়নের টান মনিপুর এলাকায় সরকারি জায়গায় প্রায় ১০০ বছরের অধিক পুরানো বাজার, যাহা সিমনা বাজার নামে পরিচিত। পুরো এলাকা এটিই একমাত্র পুরানো বাজার, বর্তমানে আখাউড়া – বিজয়নগর দুই উপজেলার মূল সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে বড় বড় বাজার, কালের বিবর্তনে এ বাজার প্রায় ধ্বংস , লোকজনের যাতায়াত অনেক কম, উক্ত জায়গার কিছু অংশে বাংলাদেশে সরকার গরীব অসহায় গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিনে শিবির স্থাপন করে , কিছু জায়গায় বিডিআর ক্যাম্প , বর্তমান নাম বিজিবি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত বিজিবি ক্যাম্প সরকারের সুবিধা অনুসারে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। এর পরও অনেক জায়গা ফাকা থাকে, উক্ত জায়গায় আশ্রয়ন শিবিরের লোকেরা তা প্রয়োজনে ব্যবহার করতো। বর্তমানে উক্ত অব্যবহৃত ৪৫ শতক জায়গা পত্তন ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতন জোরপূর্বক দখল করে দোকান ঘর নির্মণে করছে ,এলাকার মানুষ বাধা প্রদান করলে ও তাতে কোন কাজ হয়নি ,
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনেক বয়োজ্যেষ্ঠ ও প্রবীণ মুরব্বি জানান, আমরা গরীব রতনের বিরুদ্ধে কেহ কোন কথা বললে মাদক মামলায় ফাসিয়ে দেয় / বাড়িতে আবগারি (মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা) পাঠিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করে। চেয়াম্যানের দাদার নাম কাছম আলী তাহার কিছু জায়গা ছিল শিবিরের পূর্ব দিকে খালের পাড়, সেখানে তামাক চাষ করতো। কিন্তু দাবি করতো উক্ত সরকারি জায়গা সহ তাহার। পূর্বে উক্ত সরকারি জায়গা দখলের বহুবার চেষ্টা করে এ নিয়ে এলাবাসীর সাথে বহুবার ঝগড়া হয়েছে। পরবর্তীতে কাছম আলী ঐ জায়গা জীবিত থাকাকালীন সময়ে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন। বর্তমানে লিজের নামে চেয়ারম্যান সরকারি জায়গা দখল করছে।
এ বিষয়ে, এ বিষয়ে কামরুজ্জামান (রতন) চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এখানে সরকারি ১ একর ৫৬ শতক জায়গা রয়েছে, এরমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের দক্ষিণে যেখানে আমি দোকান ঘর নির্মাণ করছি সেখানে ২০ শতক ও উক্ত সড়কের উত্তর পার্শে ২৫ শতক মোট ৪৫ শতক জায়গা আমার দাদা মরহুম কাছম আলী যাহা সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়েছিল, উক্ত জায়গার উপর মহামান্য কোর্ট মামলা হয় ও কোর্ট থেকে ৩ টি রায় আমার পক্ষে আসে ও সরকার বাহাদুর আমাকে আমার জায়গা বুঝিয়ে দেয়। তাই আমি দোকান ঘর তুলিতেছি। আমি সরকারি জায়গায় ঘর তুলিনি।
এ বিষয়ে , পত্তন ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্ত বলেন, রতন চেয়ারম্যানকে সরকারি জায়গায় ঘর তুলতে বারণ করেছি সে আমার কথা শুনেনি।
এ বিষয়ে, সহকারি কমিশনার ভ‚মি, রাবেয়া আফসার সায়মা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে এর ব্যবস্থা গ্রহণ কারা হবে।
এ বিষয়ে, উপজেলা নির্বাহি অফিসার (মুক্তিযোদ্ধা সন্তান) কে এম ইয়াসির আরাফাত বলেন, সরকারি সম্পদ কেহ অন্যায় ভাবে দখল করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে,তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা ভ‚মি অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।