বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩, ১১:০১ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
বিজয়নগরের ইউএনও এর বিরুদ্ধে চুরি,ছিনতাইয়ের অভিযোগে কোর্টে মামলা। বিজয়নগরে ভ্রাম্যমান আদালতে ব্যাটারি জব্দ ও কারাদণ্ড প্রদান। বিজয়নগরের বুধন্তি ইউপিতে যুবদলের ওয়ার্ড কমিটি গঠন। বিজয়নগরের বুধন্তি ইউপিতে যুবদলের ওয়ার্ড কমিটি গঠন। বিজয়নগরে মাদকসহ সেই শিবলু গ্রেফতার। বিজয়নগরে গাঁজা সহ ১ জন গ্রেফতার,মাইক্রোবাস জব্দ। বিজয়নগরে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠন নেতৃবৃন্দের পুষ্পার্ঘ অর্পণ। ইসলামপুর আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজের নবনির্মিত চতুর্থ তলা ভবনের উদ্বোধন ও নবীন বরণ। বিজয়নগরে ধান গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা। বিজয়নগরে ৩০ কেজি গাাঁজাসহ সেই আব্দুল্লাহ্ গ্রেফতার।

বিজয়নগরে খবর প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন সরকারি ভুমি রক্ষায় লাল নিশান।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় চেয়ারম্যান কর্তৃক সরকারি জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে মর্মে গত সোমবার ১৪ জুন ২০২১ ইং বিজয়নগর টিভি ডট কম এতে খবর প্রকাশ হয়।

উক্ত খবর প্রশাসনের নজরে আসলে, গতকাল মঙ্গলবার ১৫ জুন ২০২১ ইং এবং উপজেলা নির্বাহি অফিসার (মুক্তিযোদ্ধা সন্তান) কে এম ইয়সির আরাফাতের দিক নির্দেশনায় উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি রাবেয়া আফসার সায়মা এর নির্দেশে পত্তন ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা সরে জমিনে অপরাহ্নে গিয়ে সতর্ক করে উক্ত নালিশা ভুমিতে লাল নিশান উড়ায়।

এতে এলাকায় স্বস্তি নেমে আসে, আইন শৃক্ষলা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে প্রশাসনের এমন সঠিক সিদ্ধান্ত সঠিক সময়ে নেওয়ায় প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্তার ভিত্তি আরো মজবুত হয়ে শ্রদ্ধাভরে উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান এলাকার সুশীল সমাজ সহ আবাল – বৃদ্ধ – বনিতা।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ১০ জুন ২০২১ ইং তাং উপজেলা নির্বাহি অফিসার বরাবর, সরকারি ভুমিতে নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য গণ সাক্ষরের ভিত্তিতে লিখিত অভিযোগ করেন এলাকার জনগণ।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টান মনিপুর মৌজার সীমনা বাজারে (আশ্রয়ন শিবির) সরকারী ভূমিতে, পূর্বে ফ্লাড সেন্টার এবং সাবেক বিডিআর ক্যাম্প ছিল। বর্তমানে উক্ত ভুমি সরকারি খাস খতিয়ানে অর্ন্তভ‚ক্ত হইয়া পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে।

এমতাবস্থায় অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরূজ্জামান (রতন) বর্ণিত সরকারি ৪৫ শতক ভ‚মি জবরদখল করিয়া সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে ব্যক্তি স্বার্থে দোকান ঘর নির্মাণ করিতেছে। এমতাবস্থায় এলাকার জনগণ তাতে বাধা নিষেধ করিলেও উক্ত বাধা উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় এলকায় আইন শৃক্ষলার চরম অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরেজমিনে এলাকা ঘুরে জানাযায়,উপজেলার শেখ হাসিনা সড়কের পাশে অবস্থিত পত্তন ইউনিয়নের টান মনিপুর এলাকায় সরকারি জায়গায় প্রায় ১০০ বছরের অধিক পুরানো বাজার, যাহা সিমনা বাজার নামে পরিচিত। পুরো এলাকা এটিই একমাত্র পুরানো বাজার, বর্তমানে আখাউড়া – বিজয়নগর দুই উপজেলার মূল সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে বড় বড় বাজার, কালের বিবর্তনে এ বাজার প্রায় ধ্বংস , লোকজনের যাতায়াত অনেক কম, উক্ত জায়গার কিছু অংশে বাংলাদেশে সরকার গরীব অসহায় গৃহহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিনে শিবির স্থাপন করে , কিছু জায়গায় বিডিআর ক্যাম্প , বর্তমান নাম বিজিবি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত বিজিবি ক্যাম্প সরকারের সুবিধা অনুসারে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। এর পরও অনেক জায়গা ফাকা থাকে, উক্ত জায়গায় আশ্রয়ন শিবিরের লোকেরা তা প্রয়োজনে ব্যবহার করতো।

বর্তমানে উক্ত অব্যবহৃত ৪৫ শতক জায়গা পত্তন ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতন জোরপূর্বক দখল করে দোকান ঘর নির্মণে করছে ,এলাকার মানুষ বাধা প্রদান করলে ও তাতে কোন কাজ হয়নি ,

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আনেক বয়োজ্যেষ্ঠ ও প্রবীণ মুরব্বি জানান, আমরা গরীব রতনের বিরুদ্ধে কেহ কোন কথা বললে মাদক মামলায় ফাসিয়ে দেয় অথবা বাড়িতে আবগারি (মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা) পাঠিয়ে তল্লাশির নামে হয়রানি করে। চেয়াম্যানের দাদার নাম কাছম আলী তাহার কিছু জায়গা ছিল শিবিরের পূর্ব দিকে খালের পাড়, সেখানে তামাক চাষ করতো। কিন্তু দাবি করতো উক্ত সরকারি জায়গা সহ তাহার। পূর্বে উক্ত সরকারি জায়গা দখলের বহুবার চেষ্টা করে এ নিয়ে এলাবাসীর সাথে বহুবার ঝগড়া হয়েছে। পরবর্তীতে কাছম আলী ঐ জায়গা জীবিত থাকাকালীন সময়ে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেন। বর্তমানে লিজের নামে চেয়ারম্যান সরকারি জায়গা দখল করছে। এ বাজারে বেশকিছু দোকান রয়েছে, এসব দোকান চেয়ারম্যনের জায়গায় বলে অন্যায় ভাবে দাবি করে, এসব দোকান থেকে প্রতি মাসে দোকানের আকার অনুসারে ভাড়া আদায় করতো।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত bijoynagartv ওয়েবসাইটের কোন তথ্য কপি করা আইনত দণ্ডনীয়।
Developer: DesigUs
error: ওয়েবসাইটের তথ্য কপি করা আইনত দণ্ডনীয়