শনিবার, ২৭ মে ২০২৩, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সে মেরাশানী পলিটেকনিক একাডেমির অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী, এবং উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের মেরাশানী(পশ্চিম) গ্রামের মোশাররফ মিয়ার মেয়ে মুন্নি আক্তার (১৪) ।
আজ ১৮ আগষ্ট ২০২১ইং দুপুর প্রায় ১.৩০ মিনিটে এ খুনের ঘটনা ঘটে। কাঞ্চনপুরের তার নানা বাড়ির পূর্বদিকে উঁচু পাহাড় এর ডাল (লুঙ্গা) রোপন করা ধানক্ষেতে মুন্নি আক্তার এর নিতর দেহ কাদামাটির নিচে পুতা এবং তাতে ছালা দিয়ে ঢাকা, কিন্তু পা দুটো কাদার উপরে ।
এমন চিত্র এলাকার সাধারণ জনগণের নজরে আসলে স্থানীয়রা জনপ্রতিনিধি ও পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ বিকাল ৪ টায় এসে কাদা মাটির নিচ হতে নিথর দেহ উদ্ধার করে, পার্শ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুন্নি আক্তার কে মৃত ঘোষণা করে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মুন্নি আক্তারের মামার বাড়ি পার্শ্ববর্তী একই ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে নানা মোঃ ওসমান মিয়া , সেখানে অজ্ঞাত পরিচয় ওমর ফারুক নামের কক্সবাজারের চকরিয়ার ছেলে দীর্ঘ ৪/৫ বছর যাবৎ তাদের বাড়িতে আশ্রিত ছিল, রাজমিস্ত্রির কাজ সহ বিভিন্ন কাজ করতো।
আর নানার বাড়ির সুবাদে মন্নির আক্তারের যাতায়াত ছিল অবাধে, মুন্নি ও ওমর ফারুকের ঘনিষ্ঠ চলাফেরা গ্রামের অনেকেরই নজরে আসে।এ নিয়ে এলাকায় রয়েছে কানাঘুষা।
তাহারা আরও জানান, লোঙ্গার ডালে উভয়ের ৪ টি পায়ের জুতো এবং একটি শপিং ব্যাগ দেখতে পায় এবং উভয়ের দস্তাদস্তি আদা খেতে বর্তমান।
মুন্নি আক্তার এর দাদি জানান, নানা ওসমান মিয়া, মুন্নির মা ফারজানা আক্তারের প্রশ্রয়ে ওমর ফারুক তাদের বাড়িতে দীর্ঘ ৪/৫ বছর যাবৎ আশ্রিত, মুন্নি ও ওমর ফারুকের ঘনিষ্ঠতার কথা এলাকার মানুষ গুঞ্জন করছে এমন কথা তার মা কে জানালে,মুন্নির মা ফারজানা বলেন, ওমর ফারুকের জায়গা সম্পদ টাকা পয়সা না থাকায় বিয়ে দিতে রাজি নয়।
তিনি আরো জানান, মুন্নির মা ফার্জানা বেগম তার বোনকে ওমর ফারুকের সাথে বিয়ে দিবে মর্মে দীর্ঘদিন যাবৎ তার থেকে টাকা পয়সার সহ বিভিন্ন সুবিধা আদায় করতো, এবং পরবর্তীতে তার বোনের অন্যত্র বিয়ে হয়ায় এখন ফারজানার মেয়ে মুন্নিকে তার সাথে বিয়ে দিবে বলে রাজি ছিল,এবং সুবিধাও আদায় করেছে, এখন অতজ্ঞাত কারণে এদের বিয়েতে নারাজ।
মুন্নির নানা মোহাম্মদ ওসমান মিয়া এ বিষয়ে কিছুই জানে না এবং কিছুই বলতে পারবে না বলে জানান।
এ বিষয়ে প্রতিবেশী মোঃ আব্দুল মান্নাফ জানান, লোঙ্গার লিচু গাছ তলায় বসে দুজনের একান্ত আলাপ চারিতা উনি লক্ষ্য করেন দুপুর প্রায় ১ টায়।
চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং খুনিকে গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মির্জা মো: হাসান ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন, এবং লাশ সদর হসপিটালে মর্গে প্রেরণ করেন, তার শরীরে আঘাতের কোন চিহৃ নেই, থানায় কোন মামলা হয়নি, কিন্তু ওমর ফারুককে আটক করা সম্ভব হয়নি তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।