বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩, ১১:০১ অপরাহ্ন
বিজয়নগরে ইউপি নির্বাচনী দৌড়ঝাঁপ।
বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা ১০ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করলেও আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক নৌকা পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নেতৃবৃন্দের কাছে নিজের পক্ষে মনোনয়ন নিশ্চিত করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে, ঢাকায় গিয়ে দলের হাইকমান্ড সহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন শুরু করেছেন নানা তদবির ।
ও সদস্য পদে একইভাবে দলের আনুকুল্য পেতে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কাছে নিজের পক্ষে মতামত নিতে দৌড়ঝাঁপ করেছে।
এদিকে দলীয় প্রার্থীর বাহিরে অন্য দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এলাকায় জনগণ ও ভোটারদের নিকট দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করে নীরব প্রচারণা চালিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে, অতীতের নির্বাচন গুলো মনে করাচ্ছেন, বিগত দিনের কর্মকান্ড আলোচনায় আনছেন।
দলের হাইকমান্ডের কাছে সমর্থন আদায় করতে পারলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ও অন্যান্য দলীয় আনুকূল্যে বিজয় সুনিশ্চিত। তাই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী করে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে ব্যস্ত রয়েছেন, এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে না পারলেও নানা বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান- আচার-অনুষ্ঠান দান -অনুদান দিয়ে জনগণের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছে,
আবার অনেকেই মনোনয়নের খরচ ও নির্বাচন করার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা জোগাড়ের ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, নৌকার টিকিট বাগিয়ে নিয়ে, মোটা অংকের টাকা খরচ করতে পারলেই বিজয় সুনিশ্চিত, এমন ভাবনা থেকে তারা টাকা জোগাড় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
তবে একটি নিরপেক্ষ ভোট পর্যবেক্ষণ সূত্রমতে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে জেতার জন্য এবং নৌকা প্রতীকে নির্ভরতা যথেষ্ট নয়, প্রার্থীর নূন্যতম গ্রহণযোগ্যতা, অতীতের কর্মকান্ড নিয়ে ব্যক্তিদের ভোটব্যাঙ্ক ফ্যাক্ট হবে,
উপজেলার বিভিন্ন জায়গার জমে উঠেছে ভোটারদের মাঝে নির্বাচনী আলোচনা, কে মনোনয়ন পাচ্ছেন আবার কে পাচ্ছেন না এসব নিয়ে চলছে নানা চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ।
চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিকভাবে যাদের নাম তাদেও প্রথম সারিতে রয়েছে ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানগণ, পাঁচ বছরে তাদের দ্বারা এলাকায় এমন উন্নয়নে মনে ভেতর আশায় বুক বাধছে যে, নৌকা প্রতীক পেয়ে আবারও নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করবে। দলীয় অন্যান্য নেতাকর্মীরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানদের এহেন কর্মকান্ড দেখিয়ে নৌকা প্রতীক নিজে পেতে শতভাগ আশাবাদী, তার সঙ্গে নৌকা প্রতীক পেতে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে যোগাযোগ করছেন।
হোটেল, চায়ের দোকানে, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, রাস্তার বাক সহ বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট, সাটিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন, আবার অনেকে নিরব প্রতিযোগিতায় নেমেছেন।
দলীয় প্রতীকে দৌড়ঝাঁপ কারিরা হলেন, ইউনিয়ন ভিত্তিক,
১নং বুধন্তী ইউনিয়নে, বর্তমান চেয়ারম্যান মো: জিতু মিয়া , কাজী সাইদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মিজানুল ইসলাম, মোবারক হোসেন ,দানু মিয়া, কাজী খানম,
২ নং চান্দুরা ইউনিয়নে, বর্তমান চেয়ারম্যান সামিউল হক চৌধুরী শামীম, আনিছুর রহমান (বাপ্পি), অশোক রায় চৌধুরী, তাজুল ইসলাম মতি. কাজী ফায়েজ মিয়া,
৩নং ইছাপুরা ইউনিয়নে, বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল, আক্তার হোসেন, ইসহাক সরকার, নুরুল আমিন, সাহিদ মিয়া,
৪ নং চম্পকনগর ইউনিয়নে,বর্তমান চেয়ারম্যান, হামিদুল হক হামদু, আব্দুল খালেক, আনোয়ার চৌধুরী, নুরধন ভূইয়া,বিল্লাল খন্দকার,
৫নং হরষপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সারোয়ার রহমান ভূঁইয়া, মো: শাহজাহান, রাজু বণিক,মো: বাশার, হাজী সালাহ উদ্দীন সেলিম, মিজানুর রহমান।
৬নং পত্তন ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান রতন, বশির আহমেদ বাবুল, শামীম আশরাফ, মজিবুর রহমান, সামসু মিয়া,
৭নং সিংগারবিল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, বাবুল চৌধুরী, আদেল মো: জাহাঙ্গীর, মানিক মিয়া,
৮ নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, মোঃ মামুন, মেহেদী হাসান মকবুল, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন, তাবরিজ সরকার, আ ফ ম হানিফ।
৯নং ইসলামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দানা মিয়া ভূঁইয়া , সাচ্ছু মিয়া , আব্দুল মতিন, সানাউল্লাহ, আব্দুস সামাদ ,নজরুল ইসলাম, আবু তাহের মেম্বার, ও রুবেল মিয়া।
১০নং পাহাড়পুর, বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, অলি আহাদ, সানু মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, মলাই মিয়া, মাইন উদ্দীন চিশতী।
বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া বলেন, দলের জন্য ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে পাশাপাশি ব্যক্তি ইমেজসহ মাঠের রাজনীতিতে জনসম্পৃক্ততা দেখা হবে জনবিচ্ছিন্ন কাউকে মনোনয়নের সুপারিশ করা হবে না, দলীয় প্রতীক পাওয়ার ক্ষেত্রে জেলা, উপজেলা, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারীর সমন্বয়ে, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কমিটির ভোটে ১ম,২য়,৩য়, এই ৩ জনের নাম দলীয় কেন্দ্রে পাঠানো হবে, কেন্দ্রীয় দলীয় নির্বাচনী বোর্ডের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।
অপরদিকে এবারের স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো নিরপেক্ষ ভূমিকা বজায় রাখলে তৃণমূল পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদে সঠিক ও স্বচ্ছ প্রতিনিধি ঠাঁই পেতে পারেন বলে মনে করেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।