বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ১ নং বুধন্তী ইউনিয়নের বুধন্তী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সে উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের বুধন্তী গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৪৮)।
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, জেলার নাসিরনগর থানার, পূর্বভাগ ইউনিয়নের, শ্যামপুর গ্রামের আলমগীর মিয়ার মেয়ে পরীমনি (ছদ্মনাম) এর সাথে উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নের বুধন্তী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মোঃ রাসেল মিয়ার সাথে প্রায় দেড় বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, বর্তমানে পরীমনি ছয় মাসের অন্তঃসত্তা।
পরীমনির স্বামীর বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সোনাই নদী, এদের বাড়ির আশেপাশে আর কোন বসতবাড়ি নেই, নির্জন নিরিবিলি এলাকাতে তাদের বসবাস, স্বামী মোঃ রাসেল মিয়া সারাবছর কর্মব্যস্ত থাকে শুকনা মৌসুমে ট্রাক্টর ড্রাইভার এবং বর্ষা মৌসুমে নদীতে মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত থাকে সারা সময়,
পরীমনির পিতৃ সমতুল্য শশুর সামান্য কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকে, বাকী সময় অবসর।
পরিমনির শাশুড়ি থাকা সত্তে ও বিয়ের পর থেকেই তার রূপ যৌবনে আকৃষ্ট হয়ে তার শশুর আবুল কালাম নানাভাবে কুপ্রস্তাব সহ নানা অঙ্গভঙ্গি করে আসতে ছিল,
শশুরের এহেন চরিত্রের কথা তার স্বামী,শাশুড়ি সবাই জানে ও কয়েকবার নিজেদের মধ্যে এমন কাজ আর হবে না মর্মে সুরাহা হয়,
কিন্তু নাছোড়বান্দা শশুর পরীমনিকে পাওয়ার জন্য মরিয়া, সে সময় সুযোগ খুঁজতে থাকে,
গত শুক্রবার ১ অক্টোবর ২০২১ ইং শাশুড়ি ননদের বাড়িতে বেড়াতে যায়, এবং প্রতিরাতের ন্যায় রাতে শেষ ভাগে স্বামী রাসেল মিয়া মাছ ধরার কাজে নদীতে চলে যায়, নির্জন ফাঁকা বাড়িতে পরীমনিকে একা পেয়ে তার শশুর এ সুযোগ হাতছাড়া না করতে রাত প্রায় ৪.৩০ মিনিটে ঘুমন্ত অবস্থায় পাশে থাকা ওড়না দিয়ে পরীমনির মুখ বেঁধে ফেলে, এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে,
এ বিষয়ে পরীমনি স্বামী-শাশুড়ি সবাইকে অবগত করলে এলাকার সাহেব সরদারগণ উঠান বৈঠকের আয়োজন করেন, এতে কোনো সুরাহা না হওয়ায়, নিরুপায় হয়ে,
গতকাল বুধবার ৬ অক্টোরব ২০২১ ইং পরীমনি বাদী হয়ে আবুল কালামকে আসামি করে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন মামলা নং- ৪/২০২১
বিজয়নগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা মোঃ হাছন এজহার প্রাপ্ত হইয়া অনতিবিলম্বে ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে,
এলাকার চেয়ারম্যান, সাহেব সরদার সহ সকলের সাথে আলোচনা করে অতি সুকৌশলে নিজ হাতে আবুল কালামকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার এমন আইন প্রয়োগে এলাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে এবং সর্বস্তরের জনগণ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তাকে ধন্যবাদ জানান।
এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা মোঃ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপরাধ করে কেহ পার পাবে না, এবং আসামি আবুল কালামকে ধর্ষণ মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।