শনিবার, ২৭ মে ২০২৩, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে উপজেলা ছাত্রদলের (ভারপ্রাপ্ত) আহ্বায়ক মোঃ এনামুল ইসলাম নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে পোষ্ট করা বিতর্ক মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
সূত্রে জানাযায়, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, রাজনৈতিক কারণে দেশের বাহিরে অবস্থান করছে। তারেক রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন উপজেলা ছাত্রদলের (ভারপ্রাপ্ত) আহ্বায়ক মোঃ এনামুল ইসলাম, তার ফেইসবুক আইডি থেকে লিখেন,
”তারেক রহমান যেহেতু বিদেশে থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে আছেন, সেখোনে বিজয়নগরের যুবদলের সদস্য পদ অতি সাধারণ বিষয়”
বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের মেসেঞ্জার গ্রæপে এ মন্তব্য স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় উঠে।
এনামুলের ফেইসবুক প্রোফাইলে বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দাবি করে কিন্তু সে (ভারপ্রাপ্ত) আহ্বায়ক, উপজেলা ছাত্রদলে আহ্বায়ক মোর্শেদ কামাল নিস্ক্রীয় থাকার কারণে তাকে (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেলা ছাত্রদলের প্রজ্ঞাপন ব্যতিত প্রেফিাইলে আহ্বায়ক লিখতে পারেনা, এমন মিথ্যাচার গঠনতন্ত্র বিরাধী, দলের জন্য ভীতিকর।
উপজেলা ছাত্রদলের (ভারপ্রাপ্ত) আহ্বায়ক হয়ে এমন অনাকাক্সিক্ষত পোষ্ট মানহানিকর দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বলে দলের লোকজনের ভেতরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে পদ থেকে অব্যাহতি ও দল থেকে বহিষ্কারের কথা ভাবছে অনেকে,
এ বিষয়ে উপজেলার বুধন্তী ইউপির সেমরা গ্রামের ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি, সাবেক উপজেলা যুবদলের সদস্য মে: বাহারাম খান জানান, বর্তমান সরকারের আমলে ৮ টি রাজনৈতিক মামলার মুখোমুখি আমি, গত পার্লামেন্ট নির্বাচনে বুধন্তী ইউপির সেমরা গ্রামের ভোট সেন্টারে গন্ডগোলে ৭২ জনের নামে মামলা হয় কিন্তু সে (এনামুল) ছাত্রদলের ভাইটাল পোষ্টে থাকা সত্তেও পূর্ব পরিচয়ের কারণে তার নামে মামলা নেই, এ স্টেটাসের তীব্র নিন্দা ও বিতর্ক সৃষ্টি কারি এনামুলকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে বুধন্তী ইউপি ছাত্র দলের সাবেক সেক্রেটারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সাবেক ছাত্রদলের সহ দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মো: আসাদুজ্জামান মুন্সী বলেন, এনামুল ২০০৭ সালে ৫ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ছাত্রলীগের কর্মী থাকা অবস্থায় বুধন্তী ইউনিয়নের সেমড়া গ্রামের একমাত্র ছাত্রদলের কার্যালয় ভেঙ্গেছে, তখন ছাত্রদলের ও ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিল এনামুল, ছাত্র দলের নেতৃত্বে ছিলেন মরহুম জুলহাস ও আমেরিকা প্রবাসী সোহেল। সত্যিকার অর্থেই এনামুল ছাত্রদলের কেউ না, সে ছাত্রদলে অনুপ্রবেশকারী ছাত্রলীগের এবং আওয়ামীলীগের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে,
তার দ্বারা বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের কোন উপকার হবে না, তাঁর পুরো পরিবার ও পুরো গোত্রের সকল লোকজন সক্রিয় ভাবে পদ-পদবীতে থেকে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের সাথে জড়িত রহিয়াছে। ২০০৮ সালে সৈয়দ একরামুজ্জামান এর হাত ধরে বুধন্তী মাদ্রাসা মাঠে ছাত্রদলে তার অভিষেক,
এখন বুঝতে পরিতেছি যে, সে আর.এ.কে. কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার উদ্দেশ্যে সে দলে যোগদান করে। এ স্টেটাসের তীব্র নিন্দা ও বিতর্ক সৃষ্টি কারি এনামুলকে দল থেকে বহিস্কারের দাবি জানান।
বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক কাশেম কিবরিয়া জানান,মো: এনামুল ইসলাম বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রদলের (ভারপ্রাপ্ত) আহ্বায়কের বক্তব্য প্রদানের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় উঠে পাশাপাশি তাকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য বিএনপি’র বর্তমান অভিভাবক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে নিয়ে বাজে মন্তব্য প্রদান করায় আমি মনে করি সে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে আমি জেলা ছাত্রদল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করি আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
ছাত্র দলের অনেকে জানান, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর সাথে অন্যকারো তুলনা করা মানহানিকর, বিতর্ক সৃষ্টি কারি দলের ভাবমুর্তি নষ্ট ও শৃক্ষলা ভঙ্গের কারণে তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করা প্রয়োজন।
জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারী মোহাম্মদ ফুজায়েল চৌধুরী জানান এই বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক লেখালেখি হতে দেখেছি যদি এনামুুল ইসলাম এর আইডি থেকে এ ধরনের লেখালেখি হয়ে থাকে তাহলে জেলা ছাত্রদল যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।