বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০৭:২৪ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ভূমিদস্যু পরসম্পদলোভী সমাজের নিকৃষ্ঠ ধোঁকাবাজ ও প্রতারক আব্দুল ওয়াদুদ রেনু মিয়ার দায়ের করা মিথ্যা ভিত্তিহীন চাদাঁবাজী মামলার বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে বীরপাশা গ্রামের সকল এলাকাবাসী।
শুক্রবার ৯ অক্টোবর বিকাল ৫টায় বীরপাশা বায়তুল আমীন মসজিদের পিছনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এলাকাবাসী।সংবাদ সম্মেলনে বুধন্তী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুল ইসলামের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাজমুল হোসাইন।
লিখিত পাঠে নামজুল হোসাইন বলেন, বীরপাশা গ্রামের মুন্সী আলী নেওয়াজের ছেলে আব্দুল আহাদ চুন্নু মিয়া ও আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া মিলে ঢাকাতে ব্যাগের ব্যবসা করেন। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর ব্যবসায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লোকসান আসে এই লোকসানের টাকা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হলে এলাকার সর্দারা দুই ভাইকে অর্ধেক অর্ধেক টাকা ভাগ সমহারে দিয়ে দিবে এই মর্মে সমাধান করে একটি ১৫০ টাকার অলিখিত স্টাম্পে দস্তখত রাখেন।
সেই স্ট্যাম্প নিরপক্ষ একজন সরদার এর নিকট রক্ষিত ছিল, কিন্তু কোন অদ্ভুত কারণে সেই সরদার অলিখিত স্টাম্প রেনু মিয়ার নিকট দিয়ে দেয়, সেই অলিখিত স্টাম্পে হাজী আব্দুল আহাদ চুন্নু মিয়ার স্থাবর অস্থাবর সহায় সম্পত্তি দলিল লেখক দ্বারা মুসাবিদা করাইয়া নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে একটি বায়না পত্র তৈরি করেন, সেই বায়না পত্র দিয়ে হাজী আব্দুল আহাদ চুন্নু মিয়ার অজান্তে অগোচরে আদালতকে ভুল কিছু তথ্য দিয়া মিথ্যা কিছু তথ্য দিয়ে একতরফা মামলা পরিচালনা করিয়া আদালতযোগে একতরফা একটি রায় নেয়, পরে এ বিষয়ে জানতেপেরে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য সহ গ্রাম্য সালিশানদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক হয়, প্রতারণার সুবিধার্থে গত ১৫ আগষ্ট ওয়াদুদ মিয়া বাদী হয়ে বিজয়নগর থানা আব্দুল আহাদ চুন্নু মিয়ার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন,
অভিযোগের ভিত্তিতে ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ির সাব ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান উভয় পক্ষকে ডেকে সালিশকারদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সাক্ষীদের সাক্ষ্য শোনেন ও সকলের উপস্থিতিতে উক্ত নন জুডিশিয়াল স্টাম্প ভূল বলে প্রমাণিত হয় ও নিজেদের মধ্যে আর এমন হবেনা মর্মে কথা হয়, কিন্ত পরবর্তী সময়ে আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া সকলকে উপেক্ষা করে সালিশকার সহ কোর্টে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং সি,আর ১৫৫/২১, এ মামলায় ডি বি পুলিশের নিকট তদন্তের দায়িত্ব ভার দেওয়া হয়, ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আলমগির শাহ বিবাদীর অজান্তে প্রায় এক সপ্তাহের সময়ের মধ্যে মিথ্যা ভিত্তিহীন রিপোট দাখিল করেন,
উক্ত মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে এলাকার জনসাধারণ সহ সুশীল সমাজ ন্যায় বিচার ও এর কবল থেকে পরিত্রাণের আশা করেন, সম্মেলন শেষে শত শত মানুষের উপস্থিত জনসাধারণ মানববন্ধনের ব্যানার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়ান।