বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩, ১১:০২ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
বিজয়নগরের ইউএনও এর বিরুদ্ধে চুরি,ছিনতাইয়ের অভিযোগে কোর্টে মামলা। বিজয়নগরে ভ্রাম্যমান আদালতে ব্যাটারি জব্দ ও কারাদণ্ড প্রদান। বিজয়নগরের বুধন্তি ইউপিতে যুবদলের ওয়ার্ড কমিটি গঠন। বিজয়নগরের বুধন্তি ইউপিতে যুবদলের ওয়ার্ড কমিটি গঠন। বিজয়নগরে মাদকসহ সেই শিবলু গ্রেফতার। বিজয়নগরে গাঁজা সহ ১ জন গ্রেফতার,মাইক্রোবাস জব্দ। বিজয়নগরে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গসংগঠন নেতৃবৃন্দের পুষ্পার্ঘ অর্পণ। ইসলামপুর আলহাজ্ব কাজী রফিকুল ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজের নবনির্মিত চতুর্থ তলা ভবনের উদ্বোধন ও নবীন বরণ। বিজয়নগরে ধান গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা। বিজয়নগরে ৩০ কেজি গাাঁজাসহ সেই আব্দুল্লাহ্ গ্রেফতার।

বিজয়নগরে বিদ্যুতের আলোতে কেরোসিন তেলের হ্যাজাক লাইট বিলুপ্ত ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় বিদ্যুতের আলোতে কেরোসিন তেলের হ্যাজাক লাইট বিলুপ্ত হয়ে ঠাঁই হয়েছে জাদুঘরে। ,

বর্তমান সরকার এ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত ঘোষণা করার ফলে, রাতের অন্ধকার দূর করতে যাহার জুড়ি ছিলনা এখন তা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

স্থান ভেদে এর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নাম রয়েছে, কোন কোন জায়গায় এর নাম পাম্প, মেন্টাল লাইট, বড় বাতি ইত্যাদি নাম ধারণ করে ছিল এই হ্যাজাক লাইট,

গ্রামে গঞ্জে পাড়ায়-মহল্লায়, ওয়াজ মাহফিল, বিয়ে-শাদী, আচার অনুষ্ঠান, সালিশ বৈঠক, নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা, গান বাজনা, যাত্রাপালা, রাতে কাহারো মৃত্যুতে, এক কথায় রাতের বেলায় বড় কোন অনুষ্ঠান হ্যাজাক লাইট ছাড়া সবই ছিল অচল,

তাই রাতের বেলায় বড় কোন সামাজিক কাজে এ লাইট ভাড়া করে আনতে ডেকোরেটর্সের দোকান থেকে অথবা এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তির কাছে থাকলে ধার করে আনত।

এক সময় হ্যাজাক লাইট এর ব্যাপক চাহিদা ছিল, রাতের অন্ধকার দূর করতে গ্রামগঞ্জে কেরোসিন তেলে ব্যবহৃত হ্যাজাক লাইট ছিল একমাত্র ভরসা, আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন, এই কারণে এ লাইটের ব্যবহার এখন আর দেখা নেই,
জানা যায় ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে এ লাইটের ব্যবহার ছিল রমরমা, মাত্র ৩ লিটার কেরোসিন তেল দিয়ে চলত সারারাত আর হ্যাজাকের লাইটের আলোয় আলোকিত গ্রামবাংলার অন্ধকার জনপদ।

কেরোসিন তেল পাম্প করে সূ² ছিদ্রযুক্ত নজেলের সাহায্যে মেন্টালে দেওয়া হতো ্আর আগুনের ফুলকিতে জ¦লে উঠতো মেন্টাল, আলো জ¦লার সাথে সাথে দুর হতো সব অন্দকার, একটা সময় লাইটের আলো কমতে দেখলে আবার দেওয়া হতো পাম্প আবার উজ্জল আলোতে জ¦লে উঠতো মেন্টাল এভাবে চলতো সারা রাত,

আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাবে বিদ্যুতের বাতি, সোলার লাইটের কার্যক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি হওয়ায় হ্যাজাক লাইট আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছে।

ডেকোরেটর্সে দোকানে. পুরনো জমিদার, ধনাঢ্য ব্যক্তিদের বাড়িতে হ্যাজাক লাইট দেখা যেত,

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালের আবর্তে খুচরা যন্ত্রাংশ ও চিমনি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না, তাই এর খোজ কেহ রাখেনা, এখনকার আধুনিক যুগের কারণে বর্তমান ছেলে মেয়েদের কাছে হ্যাজাক লাইট গল্পের মত। হ্যাজাক লাইট দেখিতে এখন যেতে হবে জাদুঘরে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© সর্বস্বত্ত সংরক্ষিত bijoynagartv ওয়েবসাইটের কোন তথ্য কপি করা আইনত দণ্ডনীয়।
Developer: DesigUs
error: ওয়েবসাইটের তথ্য কপি করা আইনত দণ্ডনীয়