শনিবার, ২৭ মে ২০২৩, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাছিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নে নদীর পাড়ে ধান পরিবহনের ভাড়াকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংর্ঘষ হয় এতে ১ জন নিহত ও আহত আহত প্রায় ১৫ জন।
নিহত ব্যক্তি হলেন, শ্রীঘর গ্রামের মৃত সানু মিয়ার ছেলে নায়েব উল্লাহ (৪৫)
মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল বেলা প্রায় ২ টায় উপজেলার বুড়িশ্বর ইউপির আশুরাইল ও শ্রীঘর দুই গ্রামের লোকের মাঝে নদীর পাড়ের ধান পরিবহনের ভাড়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা একপর্যায়ে হাতাহাতি থেকে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যপী সংর্ঘষ চলাকালে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, সংঘর্ষে উভয় গ্রামের প্রায় ১৫ জন আহত হওয়া খবর পাওয়া যায়।
আহতদের মাঝে মিজান মিয়া (৩০), আরজান মিয়া (২০), দিপু মিয়া (২০), দানা মিয়া (২৮), আরমান (২২), মহসিন (১৯) শফিকুল (১৮), সাইফুল ইসলাম (২৪), তারা মিয়া (৪০), মাহমুদুল হাসান (২৬), আব্দুল করিম (৪৫), মহসিন (১৫), জুনাইদ (১১) কে নাসিরনগর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।
এর মাধ্যে গুরুতর একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদস হাসপাতালে প্রেরণ ও অন্যান্যরা বিভিন্ন জায়গায় প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, হাওড়ের ধান কেটে লঙ্গন নদীর তীরে রাখা হয় সে ধান ৫০০ টাকায় পরিবহনের জন্য শ্রীঘর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে জুনাইদ (৩৪) ট্রাক্টর ড্রাইভারের সাথে কথা হয়, আশুরাইল গ্রামের ধানের মালিক ইউনুছ আলীর ছেলে জালাল মিয়ার, অতিরিক্ত বোঝাইয়ের ফলে ট্রাক্টর ড্রাইভার ট্রাক্টর ভাড়া অতিরিক্ত ২০০ টাকা যোগে ৭০০ টাকা ভাড় দাবি করে এতেই বাধে বিপত্তি, উভয়ের মধ্যে তকর্ বিতর্ক,এক পর্যায়ে হাতাহাতি, পরবর্তিতে মারামারিতে রুপনেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে শ্রীঘর গ্রামের মৃত সানু মিয়ার ছেলে নায়েব উল্লাহ (৪৫) ঘটনাস্থলেই মারাযায়।
নিহত নায়েব উল্লাহকে নাসিরনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো: আশিক মর্তুজা সীমান্ত এর কাছে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে নায়েব উল্লাহ হার্টএটাকে মারা যেতে পারে তবে প্রয়োজনীয় পরিক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
নাসিরনগর, সরাইল ও আশুগঞ্জে দায়ীত্বরত (সার্কেল) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, উক্ত ঘটনায় ১ জন থানা হেফাজতে রয়েছে, নিহত ব্যক্তির সুরতহাল রিপের্টি তৈরী করা হয়েছে তবে নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, শুধু ডান পায়ের হাটুর নীচে পুরাতন সামান্য একটি আঘাত রয়েছে বলে জানান, এবং ময়না তদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে, ময়না তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে মৃত্যুর আসল কারণ জানাযাবে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো: আতিকুর রহমান জানান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে, ট্রাক্টরে ধান পরিবহনের ভাড়াকে কেন্দ্র করে মরামারির সূত্রপাত হয়।