বৃহস্পতিবার, ০১ Jun ২০২৩, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার উত্তর কাইতলা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ হাতা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ মিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়।
শনিবার ৭ মে দুপুরে মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল ওহিদ নামের এক মুক্তিযোদ্ধার লাশ আদালতের নির্দেশে আড়াই বছর পর উত্তোলন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৭ই নভেম্বর ২০১৯ সালে তুচ্ছ ঘটনায় উপজেলার ব্রাহ্মণ হাতা (মধ্য পাড়া) গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহিদের সাথে তার ভাতিজা আবু হানিফের সাথে গ্রামের বাজারে কথাকাটাকাটি হয় এরপর মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল ওহিদ মিয়া মারা যায় ।
এই ঘটনায় উভয়পক্ষের সম্মতিতে এলাকায় সালিশ বৈঠকে সমাধান হয়।
কিন্তু অধিকতর ন্যায় বিচার পাওয়ার স্বার্থে ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২১ ই মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহিদের স্ত্রী হোসনা আরা বেগম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন, মামলা নং সি আর (নবীনগর) ৩৪০, ধারা ৪৪৭,৩৪১,৩২৩,৩২৫,৩৪,৫০২,
বিজ্ঞ আদালত মামলা পর্যালোচনা করে লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেয়।
এরই পরিপেক্ষিতে শনিবার দুপুরে সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ওহিদের লাশ কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়।
এ ব্যাপারে কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল বাছির বলেন, ব্রাহ্মণ হাতা বাজারে মুক্তিযোদ্ধার তার ভাতিজার সাথে মৌখিক তর্কাতর্কি হয়, পরবর্তীতে সে মারা যায়, মৃত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ মৃত্যুর পরপরই আমরা সকল সাহেব সরদার মিলে এক সালিশ বৈঠকে আবু হানিফের টিনশেডে ঘর সহ ১০ শতক বসতঘর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে লিখে দেওয়ার মাধ্যমে সালিশের সমাপ্তি ঘটে , এবং বিবাদী পক্ষ তারা এই গ্রাম ছেড়ে দূরে চলে যায়, বর্তমানে আবার আদালতের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
নবীনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি তৈরি করে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয় ,একাজে পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন,
সহকারি কমিশনার ভূমি ও একজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন তিনি জানান, আজ দুপুরে উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের একটি কবরস্থান হতে বিজ্ঞ আদালতে নির্দেশনা অনুযায়ী ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৭৬(২) অনুযায়ী বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কর্তৃক ক্ষমতায়িত হয়ে , ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতের ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৭৪ ধারা অনুযায়ী লাশ উত্তোলন করে পি.আর.বি. ফর্ম ২৯৯ অনুযায়ী সুরতহাল রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়। এ সময় মাথার খুলিসহ ৮৭ টি হার পাওয়া যায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা (IO), সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স, মৃতের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার সাধারণ মানুষজন।