রবিবার, ০৪ Jun ২০২৩, ১০:২১ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ, চেষ্টা এ অভিযেগে ধর্ষককে আসামি করে থানায় এজহার দায়ের।
ধর্ষক, উপজেলার বুধন্তী ইউপির বুধন্তী গ্রামের(পূর্বপাড়া) মৃত মারুফ মিয়া ছেলে মহবত আলী (৫০)।
রবিবার ২৬ জুন দুপুর বেলায় টিফিনের জন্য বিদ্যালয় হইতে বাড়িতে আসার পথে সময় অনুমান ১.২০ মিনিটে উপজেলার বুধন্তী ইউপির কেনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ে অদুরে মৃত রবু মিয়ার বসত ঘর সংলগ্ন দুই ঘরের মধ্যদিয়ে চলাচলের অতিসরু রাস্তায় ভিকটিমকে একা পেয়ে জোরপূর্বক পড়নের পায়জামা খুলে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিক্টিমের বাবা বাদী হয়ে উক্ত ধর্ষককে আসামি করে বুধবার ২৮ জুন ৫.৩০ মিনিটে সুষ্ট বিচারের জন্য থানায় এজাহার দায়ের করেন।
প্রতিবেদকে হাতে আসা এ ঘটনার গোপনে ধারণকৃত ৪২ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে দেখাযায়, স্কুলের অদুরে মৃত রবু মিয়ার বসত ঘর সংলগ্ন দুই ঘরের মধ্যদিয়ে চলাচলের অতি সরু রাস্তা যেখানে ২ জন লোক অতি কষ্টে অতিক্রম করতে হয় এমন নির্জন জায়গায় স্কুল ড্রেস পরিহিত প্রতিবন্ধী শিশুকে জোর পূর্বক এ অনৈতিক কাজ কতে দেখা যায়, এমতাবস্তায় শিশুটি পাশবিক নির্যাতনের সময় ধস্তাধস্তি করতে থাকে, সহিতে না পেরে এক পর্যায়ে চিৎকার চেঁচামেচি করলে ধর্ষক অস্বস্তিতে তাকে ছেড়ে দেয়।
প্রতিবেদকে হাতে আসা ২য় ভিডিও ক্লিপ ১ মিনিট ৫ সেকেন্ডের দেখাযায়, একই জায়গায় উক্ত ধর্ষক আরেকটি মেয়ের বুকে হাত দিতে দেখা যায়।
এ ঘটনায় কেনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফা আক্তার বলেন,পরদিন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের পক্ষ হতে বিষয়টি অবগত হয়ে, উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং উক্ত ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ভিক্টিমের বাবা কান্না জরিত কন্ঠে দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনাজ পারভিন বলেন, আমাকে প্রধান শিক্ষক অবগত করেছে তৎক্ষনাৎ আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে দ্রæততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে থানা অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেন।
বিজয়নগর উপজেলা অফিসার ইনচার্জ মির্জা মোহাম্মদ হাছান জানান, এ ঘটনায় মামলা নং ৪৭, ধারা নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৪)(ঘ) ধারায় থানায় মামলা হয়ে আসামি গ্রেফতার এর চেষ্টা চালছে।