শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের সেই কুখ্যাত খুনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১৪ সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা
গ্রেফতারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো: আলমগীর হোসেন@শাহিন, পিতা-আলা উদ্দিন@ জিন্না মিয়া, গ্রাম-থলিয়ারা (নাটাই ইউপি), থানা-সদর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বর্তমানে (গোপন পরিচয়) আল আমিন নাম হিসেবে নতুন জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী করে এবং উক্ত নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৮৭১৭৬২৭২৯৬ এ বাসা/হোল্ডিং নং-৪৩২, গ্রাম/রাস্তা-তেতৈতলা নয়নাবাদ, ডাকঘর-ভাটিয়াপাড়া, থানা-আড়াইহাজার, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।
শনিবার ২২ অক্টোবর বিকাল ৫ টায় র্যাবের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানাধীন থলিয়ারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আত্মগোপনে থাকা আলমগীরকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য যে, গত ২১/০৪/২০১৫ খ্রিঃ তারিখে সকাল ৭ ঘটিকার সময় মামলার ভিকটিম সোহরাব প্রতিদিনের মত সিএনজি নিয়ে বের হয়। রাত্রী বেলায় সোহরাব সিএনজি গাড়ী নিয়ে ফেরৎ না আসিলে স্বজনরা তার খোঁজ না পেয়ে বিজয়নগর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করে। পরের দিন সংবাদ পায় যে, আসামি আলমগীর ভিকটিম সোহরাবের সিএনজি ছিনতাই করে নিয়ে যায় এবং সোহরাবকে হত্যা করে হরষপুর ইউনিয়নের বোল্লা টানপাড়া ব্রিজের পশ্চিম পাশের পুকুরের ধারে সোহরাবের লাশ হাত বাধা অবস্থায় পানিতে ফেলে যায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজয়নগর থানার মামলা নং-৪৩, তাং-২৬/০৩/২০১৫ খ্রিঃ, ধারা ৩৯৪/৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয় এবং
উক্ত মামালায় তাহার যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০,০০০/- টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডিত হয়।
এছাড়াও, গত ২৪/০৩/২০১৫ খ্রিঃ তারিখ সকাল ৭ ঘটিকার সময় মামলার ভিকটিম উজ্জল তাহার বন্ধু আলমগীরের সাথে প্রতিদিনের মত সিএনজি নিয়ে বের হয়। রাত্রী বেলায় সিএনজি গাড়ী নিয়ে ফেরৎ না আসিলে স্বজনরা উজ্জ্বলের খোজে বের হলে ২৫/০৩/২০১৫ তারিখ সকাল ১০ ঘটিকার সময় বিজয়নগর বিষ্ণুপুরে ধান ক্ষেতে উজ্জ্বলের লাশ পরে আছে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজয়নগর থানার মামলা নং-৪৯, তাং-১৩/০৩/২০১৫ খ্রিঃ, ধারা ৩৯৪/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। বর্তমানে মামলটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন।